Wednesday, June 18, 2025
Ad

বইয়ের জন‍্য হাঁটুন – এই শির্ষক বার্তা দিয়ে শুরু হলো শ্রীরামপুর বই মেলা।

Must read

“এখনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বই পড়তে হয়, শুধু ইন্টারনেটে শিক্ষাদান হয়না” : গিরিধারী সাহা।

বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী: শীতের আমেজ মানেই বই মেলা। আর বই মেলা মানে বই প্রেমীদের জন‍্য ফেষ্টিভ মুড। তারা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন বইমেলার জন‍্য। বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। বই প্রেমীদের জন‍্য এবং ছোটো থেকে বড় সকল পাঠকদের জন‍্য হুগলির বিভিন্ন শহরের পাশাপাশি শ্রীরামপুরেও শুরু হলো বই মেলা। শুক্রবার আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন হলো এই বই মেলার। শ্রীরামপুর পৌরসভার উদ‍্যোগে, পুরপ্রধান গিরিধারী সাহার তত্বাবধানে শ্রীরামপুর গান্ধী ময়দানে মেলার উদ্বোধন করেন, সাহিত‍্য একাডেমি পুরস্কার প্রাপক বিশিষ্ট সাহিত‍্যিক স্বপ্নময় চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, পৌরপ্রধান গিরিধারী সাহা, উপ পৌরপ্রধান উত্তম নাগ সহ অন‍্যান‍্য জনপ্রতিনিধিগন। উপস্থিত ছিলেন বইমেলার যুগ্ম সম্পাদক সমীর সাহা ও সন্তোষ সিং। এদিন বইমেলাকে কেন্দ্র করে মাহেশ মন্দির সংলগ্ন স্নান পিড়ির মাঠ প্রাঙ্গন থেকে “বইয়ের জন‍্য হাটুন” শির্ষক একটি পদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। শ্রীরামপুরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, বহু বই প্রেমী ও সংস্কৃতি মনোভাবাপন্ন মানুষ এই পদযাত্রায় পা মেলান। মেলা প্রাঙ্গনে এসে শেষ হয় পদযাত্রা। মেলার প্রথম দিনেই লক্ষ করা যায় বই প্রেমীদের ভীর। মেলায় চল্লিশটা স্টল দেওয়া হয়েছে।রাজ‍্যের বহু বিখ‍্যাত প্রকাশক পাঠ‍্য পুস্তক থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকমের বইয়ের সম্ভার নিয়ে হাজির বইমেলা প্রাঙ্গনে। ১২ তারিখ পযর্ন্ত প্রত‍্যহ মেলা প্রাঙ্গন খোলা থাকছে। এর সাথে প্রতিদিন সন্ধ‍্যায় থাকছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এই বিষয়ে মেলার সম্পাদক সন্তোষ সিং বলেন, বই মেলা মানুষের আবেগ, মানুষের চাহিদা। ইন্টারনেট অবশ‍্যই প্রয়োজন। কিন্তু লেখা পড়া না জানলে নেট সম্মন্ধে জানতে পারা সম্ভব না। তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি জানিয়েছেন, মেলায় পাঠ‍্য ছাড়াও অনেক শিক্ষা বিষয়ক বই আছে সেগুলোর প্রতি নজর দিক। কারণ নেটে যা আছে, সেটা পড়েই মানুষ অবিষ্কার করেছে। এই প্রশঙ্গে শ্রীরামপুর পৌরসভার পৌর প্রধান গিরিধারী সাহা জানালেন, বিভিন্ন প্রযুক্তিগত উন্নতির পাশাপাশি একটা বিষয় স্পষ্ট যে বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। চিরাচরিত প্রথাকে কেউ প্রত‍্যাখ‍্যান করতে পারেনি। একটা সময় ছিলো যখন উপহার হিসাবে বই দেওয়ার প্রচলন ছিলো। বর্তমানে সেই প্রথা একটু হয়তো হ্রাস পেয়েছে কিন্তু নির্মুল হয়ে যায়নি। এখনও মানুষ বই পড়ে। বইয়ের প্রয়োজনীয়তা এবং উপকারিতা অবশ‍্যই আছে। ইন্টারনেটে পড়া আর হাতে বই নিয়ে পড়ার মধ‍্যে বিস্তর পার্থক্য। মোবাইলে ঘড়ি থাকা সত্বেও মানুষ হাতে ঘড়ি পড়ে। তাই ইন্টারনেট যতই প্রযুক্তিগত উন্নতি করুক বই ছিলো, আছে, থাকবে।

- Advertisement -

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

Latest article