গঙ্গায় তলিয়ে মৃত্যু কিশোরের। (A teenager drowned in the Ganges)
বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী: গঙ্গায় স্নান করতে নেমে জলে ডুবে মৃত্যু হল এক কিশোরের। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে হুগলীর বৈদ্যবাটী পৌরসভার অন্তর্গত নিমাই তীর্থ ঘাটে। মৃত কিশোরের নাম সুজয় সাধুখাঁ। বয়স সতেরো বছর। স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যায়, বৈদ্যবাটী পৌরসভার চৌদ্দ নম্বর ওয়ার্ডের রথতলা এলাকার প্রেনচিঙ্গ গ্রাউন্ডের বাসিন্দা রাজা সাধুখাঁর ছোট ছেলে সুজয়। শিব চতুর্দশীর দিন দুপুর ১২টা নাগাদ বাড়িতে কাউকে না জানিয়ে বন্ধুদের সাথে গঙ্গায় স্নান করতে গিয়েছিল। দুপুর ১টা নাগাদ স্নান করার সময় একটু দুরে চলে যায় সুজয়। প্রতক্ষ্যদর্শীদের কথা মত, হঠাৎই জলের তোড়ে ভেসে যেতে দেখা যায়। সেই সময় গঙ্গার ঘাটে পূর্ণাথীর ভিড় ছিল। বন্ধুরা এবং ঘাটে উপস্থিত স্থানীয়রা চেষ্টা করেও সুজয়কে উদ্ধার করতে পারেনি। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়, বৈদ্যবাটী পৌরসভার পৌরপ্রধান পিন্টু মাহাতো ও চৌদ্দ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর প্রতিনিধি শম্পা সরকার। খবর দেওয়া হয় থানায়।
শেওড়াফুলি ও শ্রীরামপুর থানার পুলিশ এবং স্থানীয় যুবকদের যৌথ প্রচেষ্টায় প্রায় আড়াইটার সময় আশঙ্কাজনক অবস্থায় গঙ্গা থেকে সুজয়কে উদ্ধার করা হয়। এরপর শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুজয়কে মৃত ঘোষনা করেন। স্থানীয় বিধায়ক অরিন্দম গুঁইনের হস্তক্ষেপে, পৌর প্রধান পিন্টু মাহাতো ও পৌর প্রতিনিধি শম্পা সরকারের সাহায্যে এদিনই ময়না তদন্ত হওয়ার পর বিকেলে সুজয়ের দেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। ছেলের এমন আকস্মিক মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে পরিবারের লোকজন। এরপর তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। এই বিষয়ে শম্পা সরকার বলেন, অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। এই বছরই মাধ্যমিক দিয়েছে। ওর পরিবারকে সান্তনা দেওয়ার ভাষা নেই। সুজয়ের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ এলাকার মানুষও।