বৈদ্যবাটিতে পুরোনো বাড়ি ভেঙ্গে আহত দুই শ্রমিক।
বন্দনা ভট্টাচার্য, হুগলী: পুরোনো বাড়ি ভেঙ্গে পরে আহত হল দুই ব্যাক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলীর বৈদ্যবাটি পৌরসভার অন্তর্গত চৌমাথা এলাকার জিটি রোডের উপর। প্রত্যক্ষ্যদর্শীদের থেকে জানা যায়, আবাসন নির্মানের জন্য একটি পুরোনো বাড়ি ভাঙ্গা হচ্ছিল। সেই সময় আচমকাই বাড়িটির একাংশ হুড়মুড়িয়ে ভেঙ্গে পড়ে। সেই সময় সেখানে যারা কাজ করছিল তাদের মধ্যে দুজন আহত হয়। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এই প্রশঙ্গে দীপক রায় নামেএক টোটো চালক বলেন, তিনি জল খাবেন বলে কল থেকে জল নিতে গিয়েছিলেন। ঠিক সেই সময় তার সামনেই বাড়ির একাংশ ভেঙ্গে পরে। অল্পের জন্য তিনি রক্ষা পান বলে জানিয়েছেন। ভারতীয় জনতা পার্টির হুগলী জেলার সম্পাদক শুভাশিষ মুখার্জী ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। তিনি বলেন, সেই সময় সাইকেল নিয়ে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। হঠাৎই বাড়িটি ভেঙ্গে পরে। শুভাশিষ বাবু বৈদ্যবাটি পৌরসভাকে দায়ী করে বলেন, এই দুর্ঘটনায় মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পরেছে। রাস্তার উপরে এই ঘটনায় মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারতো। ভাঙ্গার আগে পথ চলতি মানুষের সুরক্ষার জন্য বাড়িটির চারপাশ টিন দিয়ে ঘিরে দেওয়া উচিৎ ছিল। কিন্তু পৌরসভা নির্মাণের অনুমতি দিয়ে দেয়। তারপর আর সেদিকে নজর দেয়না। চারিদিকে অবৈধ নির্মান, দুর্নীতিতে ভরে গেছে। সরকারের সেই দিকে নজর নেই।
অন্যদিকে বৈদ্যবাটি পৌরসভার পৌরপ্রধান পিন্টু মাহাতো জানিয়েছেন বিরোধিরা অবান্তর কথা বলেছে। নির্মানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে সেই ক্ষেত্রে নির্দেশ থাকে সব রকম নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে কাজ করতে। সেই নির্দেশ না মানলে তাদের বিরুদ্ধে সব রকম আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ঘটনায় ঠিকাদার সহ তিন জনকে আটক করেছে শেওড়াফুলি থানার পুলিশ।