বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী: গত বেশ কয়েকদিন উত্তরপাড়া থানার অন্তর্গত কানাইপুর ও উত্তরপাড়ার মাখলা এলাকায় একের পর এক বাড়িতে চুরির ঘটনার অভিযোগ আসছিল। ফাঁকা বাড়ি থাকলেই জানলার গ্রিল কেটে বা দরজা ভেঙ্গে গৃহস্থের সর্বস্ব নিয়ে উধাও হয়ে যাচ্ছিল দুষ্কৃতি। এরপরই পুলিশ নড়েচড়ে বসে। শুরু হয় তদন্ত। বিভিন্ন এলাকার সি সি টিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুই জন সন্দেহ ভাজনের খোঁজ পায় পুলিশ। এরপরই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ইকো পার্ক থানার অন্তর্গত এলাকা থেকে ৩ /৭ তারিখ একজনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের নাম বিট্টু ঠাকুর, ওরফে বাচ্ছা। বয়স ১৯ বছর। বিট্টুকে জেরা করতেই সে সব স্বীকার করে। সে জানায় এই সবের মূল অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ দাস,ওরফে আকাশ।বয়স ২৫ বছর। ৭/৭ তারিখ তারাপিঠ থানার অন্তর্গত বিরভূম থেকে আকাশকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের জেরা করে উদ্ধার করা হয় পাঁচ লক্ষ টাকার সোনা ও রুপার গহনা, ১১৮০০ টাকা এবং গ্রিল ও দরজা ভাঙ্গার বিভিন্ন সরঞ্জাম ও দুটি মোবাইল।
ধৃতদের আদালতে তোলা হলে এদের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়। বুধবার উত্তরপাড়া থানায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে ডিসিপি শ্রীরামপুর অর্ণব বিশ্বাস জানান, দুজনের বাড়ি হুগলীর শেওড়াফুলি এলাকায়। একাধিক চুরির অভিযোগ পাওয়ার পর এলাকার সিসি টিভি ফুটেজ দেখে অপরাধীদের চিহ্নিত করা হয়। প্রথমে বিট্টু ঠাকুরকে ইকো পার্ক, নিউটাউন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। সেখানে একটি নির্মিয়মান বাড়ির কেয়ার টেকারের কাজ করছিল সে। জেরায় বিট্টুর স্বীকারোক্তির পর তার সহযোগি ও মূল পান্ডা বিশ্বজিৎকে তারাপিঠ থেকে গ্রেফতার করা হয়। খতিয়ে দেখা হচ্ছে এদের সাথে আরও কেউ যুক্ত আছে কিনা।