ত্রিবেণী কুম্ভে ধ্বজত্তোলন ও বিশ্বশান্তি যজ্ঞ।
বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী: ত্রিবেনীর সাতশো বছরের ঐতিহ্য ও গৌরবকে পুনরুদ্ধারের কেন্দ্র বিন্দু হল ত্রিবেণীর কুম্ভ। সাতশো বছর বন্ধ থাকার পর ২০২২ সাল থেকে আবার শুরু হয়েছে মহা কুম্ভ মেলা। মাঘ মাসের সংক্রান্তিতে কুম্ভ স্নান হয়। বাঁশবেড়িয়া পৌরসভার অন্তর্গত ত্রিবেণীর তিনটে ঘাটে ভক্তদের মহা স্নান পর্ব চলে। সাতশো বছর আগে এই স্থানে কুম্ভ হত। পরবর্তী সময়ে মেলা বন্ধ হয়ে যায়। ২০২২ সাল থেকে আবারও শুরু হয় এই কুম্ভ স্নান। এই বছর কুম্ভমেলার তৃতীয়তম বর্ষ। এই বছর কুম্ভমেলার তিথি পরেছে এগারো, বারো, তেরোই ফেব্রুয়ারি। অর্থাৎ সাতাশ, আঠাশ, ঊনত্রিশে মাঘ।কুম্ভ মেলা শুরুর আগে বুধবার এর মাঙ্গলিক সূচনা হয়ে গেল। এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে সাধু সন্যাসী ও সন্যাসিনীগন এই স্থানে উপস্থিত হয়ে ধ্বজত্তোলন ও মানুষের মঙ্গল কামনায় বিশ্বশান্তি যজ্ঞের আয়োজন করেন।
এই প্রশঙ্গে ত্রিবেণী কুম্ভ পরিচালন কমিটির মুখ্য সংগঠক সাধন মুখার্জী বলেন, এগারো তারিখ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য কোন অনুষ্ঠান হবেনা। বারো তারিখের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে শুরু হবে স্নান পর্ব ও বিভিন্ন অনুষ্ঠান। পরীক্ষার জন্য তিন দিনের পরিবর্তে দেড় দিন চলবে কুম্ভ স্নান। ২০২২ শে পঞ্চাশ হাজার ভক্ত স্নান করতে এসেছিল। ২০২৩ শে সেই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে আট লক্ষ হয়। এবারে আশা করা হচ্ছে সেই সংখ্যা পঁচিশ লক্ষ হতে পারে। এদিন মেলা প্রাঙ্গন ও গঙ্গার ঘাট পরিদর্শন করতে আসেন এ্যাডিশনাল এস পি হেড কোয়ার্টার কল্যান সরকার। তিনি মাত্র কয়েকদিনই আগেই এখানের দায়ীত্ব ভার গ্রহণ করেছেন। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, মেলা সম্মন্ধে অবগত হওয়ার জন্যই এদিন রুটিন পরিদর্শনে এসেছেন। কুম্ভমেলায় প্রচুর ভক্তের সমাগম হবে। তাদের নিরাপত্তা দিতে সব রকমের প্রস্তুতিও নেওয়া হবে। এই বছর তিথি অনুযায়ী সাহি স্নানের সময় নির্ধারিত হয়েছে তেরো তারিখ দুপুর সারে বারোটা থেকে দুপুর দুটো পযর্ন্ত। এই সময়েই ভান্ডারাও সম্পন্ন হবে।