নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা: সারা ভারত জুড়ে, বিশেষ করে দিল্লিতে বাংলা ভাসাভাষীর উপর যে ধরনের অত্যাচার হচ্ছে, কয়েকদিন ধরেই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তার প্রতিবাদ করা হচ্ছে। সেই প্রতিবাদ কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবেই মেয়ো রোডে তৈরী হয়েছিল তৃণমূলের ধরনামঞ্চ। সোমবার সেনাবাহিনী খুলে ফেলে সেই মঞ্চ। আচমকা মঞ্চ খুলে নেওয়ার খবর পেয়ে ছুটে যান খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই মঞ্চ খোলার প্রতিবাদে কর্মসূচির ডাক দিলেন মমতা। আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার রাজ্যের প্রতি জেলার, প্রতি ওয়ার্ড, প্রতি ব্লকে প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হবেন তৃণমূল নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। পথে নেমে আন্দোলনে শামিল হয়েছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা-সহ বোলপুর, ঝাড়গ্রাম-সহ একাধিক জেলায় মিছিল করেন তিনি। ইতিমধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের পুনর্বাসনে ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পও চালু করেছে রাজ্য সরকার।
ভিনরাজ্য থেকে বাংলায় ফেরা শ্রমিকদের জন্য এক বছর ৫ হাজার টাকা করে অনুদানও ঘোষণা করা হয়। এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শনি এবং রবিবার-সপ্তাহে দু’দিন করে ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে রিলে অবস্থান করছিলেন তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা। সেখানেই তৈরি করা হয়েছিল ‘ভাষা আন্দোলন’ মঞ্চ। সোমবার আচমকা সেনাবাহিনীর জওয়ানরা মেয়ো রোডে পৌঁছয়। সভামঞ্চে খুলে ফেলে সেনা। ছুড়ে ফেলা হয় ত্রিপল। খবর পেয়েই সেখানে ছুটে যান তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “সেনাবাহিনীর দোষ নেই। তারা আমাদের বন্ধু। বিজেপির কথায় তাঁরা এই কাজ করেছে। বিজেপি সেনাকে রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহার করছে।”