লতা পুরকাইত, পাথরপ্রতিমা: Tiger attack in Sundarbansবড়ো দিনের আগে সুন্দরবনের লোকালয়ে আবারও বাঘের আতঙ্কে তটস্থ গ্রামবাসীরা। পাথরপ্রতিমার শ্রীধরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপেন্দ্রনগর এলাকার ঠাকুরান নদীর চরে রবিবার বেলার দিকে দেখা মিলেছে বাঘের পায়ের ছাপ। পাশের ধান জমিতেও বাঘের একাধিক পায়ের ছাপ দেখার পর থেকে কার্যত গৃহবন্দী এলাকা বাসীরা। দুপুরে খবর দেওয়া হয় বনদপ্তরকে। খবর পেয়ে বনদপ্তরের রামগঙ্গা, রায়দিঘি ও ধনচি রেঞ্জের আধিকারিক ও কর্মীরা ধনচির জঙ্গলের ঠিক উল্টোদিকে লোকালয়ের জঙ্গল বরাবর নদীর ধারে নাইলনের জাল দিয়ে ঘিরে ফেলার কাজ শুরু করেছে। দুপুর এবং সন্ধে নাগাদ লোকালয়ের জঙ্গল থেকে শোনা গিয়েছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের গর্জন। অন্ধকার নামতেই বাঁশ, লাঠি নিয়ে পাহারা দেয় গ্রামবাসীরা। নদীর চরে জ্বালোনো হয়েছে টায়ার ও মশাল।
বনকর্মীদের পাশাপাশি গোবর্ধনপুর উপকূল থানার পুলিশকর্মীরাও টহল দেয় এলাকায়। বন কর্মীদের অনুমান, বাঘটি সুন্দরবনের কলসের জঙ্গল থেকে নদী পেরিয়ে লোকালয়ের জঙ্গলে ঢুকেছে। সোমবার সকাল থেকে বনকর্মীরা বাঘের পায়ের ছাপ দেখে তার যাওয়ার দিক নির্ণয়ের পাশাপাশি খোঁজার চেষ্টা চালায়।
ঠাকুরান নদীর তীরবর্তী তমলুক পাড়ার বাসিন্দারা জানান, এদিন দুপুরের পর একটি পূর্ণবয়স্ক বাঘ নদী বরাবর ফিশারী থেকে উঠে পুকুর থেকে জল খেয়ে ধান জমিতে যেতে দেখা গেছে। বাঘ যে হেঁটে গেছে তার পায়ের ছাপও দেখা মিলেছে।
সুন্দরবনের লোকালয়ে বাঘের পায়ের ছাপ, শোনা গেছে গর্জনও।Tiger attack in Sundarbans
সোমবার বনদপ্তরের কর্মীরা চকলেট বোম এর আওয়াজ করে বাঘ টিকে তাড়ানোর চেষ্টা করে। তবে, পায়ের ছাপ দেখে তাদের অনুমান বঘটি ঠাকুরান নদীর জঙ্গলেই রয়েছে। বনদপ্তর কর্মী, স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকা বাসীরা যথেষ্ট তৎপর রয়েছে। যাতে লোকালয়ে বাঘটি ঢুকে না আসে। তবে স্থানীয়দের একাংশের দাবি, এলাকা থেকে ধরা বা তাড়ানোর প্রতি অবহেলা আছে। বাঘের আতঙ্কে জীবন জীবিকার আশঙ্কায় দিন কাটাতে হচ্ছে তাদের। আরো কত দিনে এই আতঙ্ক কাটবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় উপেন্দ্র নগরের বাসিন্দারা।