উল্টো রথে ভান্ডার লুঠ।
বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী : বিশাল পুলিশ বাহিনীর সামনেই লুঠ হয়ে গেল মহাপ্রভুর মাসির বাড়ির ভান্ডার। হুগলী জেলার গুপ্তিপাড়ায় উল্টো রথের আগের দিন এই ভান্ডার লুঠ হয়। ভারতবর্ষের মধ্যে একমাত্র গুপ্তিপাড়াতেই এই ভান্ডার লুঠের অনুষ্ঠান হয়। এটি একটি অত্যন্ত বৈচিত্র্যপূর্ণ উৎসব। এই ভান্ডার লুঠ স্বচক্ষে দেখার জন্য হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয় এদিন।

হুগলীর মাহেশের পরেই গুপ্তিপাড়ার রথ পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী স্নান যাত্রার পরের দিন থেকে মহাপ্রভু খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন। রথের ঠিক আগের দিন তিনি সুস্থ হন। রথের দিন তাঁর ভাই – বোনকে নিয়ে রথে করে মাসির বাড়িতে যান। মাসির বাড়ি থেকে তিনি আর ফিরে আসতে চান না। এদিকে গোকুলে লক্ষীদেবী মহাপ্রভুকে

ফিরেয়ে আনার জন্য কাতর হয়ে যান। এবং নারায়নকে ফিরিয়ে আনার জন্য বশীকরণ করেন। এতেও নারায়ন ফিরে না আসলে লক্ষী দেবী বৃন্দাবন চন্দ্র জীউ এবং কৃষ্ণ চন্দ্র জীউ কে কাতর ভাবে জানান নারায়নকে ফিরিয়ে আনার জন্য। তখন বৃন্দাবন চন্দ্র ও কৃষ্ণ চন্দ্র জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ির খাদ্য ভান্ডার লুঠ করে নিয়ে যান। এর পরের দিনই তিনি ভারাক্রান্ত মনে রথে করে ভাই বোনকে নিয়ে পুনরায় গোকুলে ফিরে আসেন। যা উল্টো রথ নামে পরিচিত।

২৮০ বছরের পুরোনো উল্টো রথযাত্রায় আজও এই প্রথা নিয়ম করে পালন করা হয়। বৃন্দাবন চন্দ্র জিউ ও কৃষ্ণ চন্দ্র জিউ মন্দিরে আসার পরই এই ভান্ডার লুঠ অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।