মানসিক অবসাদে আত্মঘাতী শিক্ষক।
সাকিফ হোসেন, ঢোলাহাট : মানসিক অবসাদ কাটাতে না পেরে শেষমেশ ঘরের মধ্যে গলায় ফাঁস জড়িয়ে আত্মঘাতী হলেন এক শিক্ষক। ওই শিক্ষকের নাম স্নেহাশীষ দাস (৪২)। তিনি ঢোলা হাইস্কুলের পদার্থবিদ্যার শিক্ষক ছিলেন। মঙ্গলবার সকালে ঘরের মধ্যে তার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাওয়া যায়। ঢোলাহাট থানার পুলিশ দেহটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কাকদ্বীপ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। 
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কন্টাই থানার দাদপুরের বাসিন্দা স্নেহাশীষ দাস। ২০১০ সালের আগস্ট মাসের ২৫ তারিখ ঢোলা হাইস্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। পরিবারে তিন ভাইয়ের মধ্যে ছোট ছিল স্নেহাশীষ। বিয়ের বেশ কিছুদিন পর থেকে পারিবারিক অশান্তির জেরে মানসিক অবসাদে ভুগছিল বলে জানাজায়। বছর এগারোর মেয়েকে নিয়ে আলাদা থাকত স্নেহাশীষের স্ত্রী। আর ঢোলা বাজার সংলগ্ন এলাকায় একটি বাড়িতে একা ভাড়া থাকতেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে এমন নিঃসঙ্গ জীবন কাটাতে গিয়ে মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকেন ওই শিক্ষক। মানসিক অবসাদ কাটাতে না পেরে গতকাল রাতে গলায় কাপড়ের ফাঁস জড়িয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে ঢোলাহাট থানার পুলিশ। 
স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম লস্কর বলেন, সকালে ফোন মারফত আমি খবর পাই। একজন প্রতিভাবান শিক্ষককে অকালে এমনভাবে চলে যেতে হবে ভাবতে পারছি না। আগে জানতে পারলে এমনটা হতে দিতাম না।
