দি সহরারহাট নার্সিং হোমে ইফতার মজলিসে পীরজাদা।
বাইজিদ মন্ডল, ডায়মন্ড হারবার: প্রতি বছরের মতো এবারও পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে দি সহরারহাট নার্সিং হোমের কর্ণধার জাহির ইসলাম এর উদ্যোগে ইফতারের দোয়ার মজলিস অনুষ্ঠিত হয়।এর সম্পূর্ণ ইফতার মজলিস থাকুক রাজনীতির বাইরে, সম্প্রীতির বার্তা দিলেন ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকী সাহেব।এই ইফতারের দোয়া মজলিস স্থানীয় মাদ্রাসার ছাত্র কেরাত পাঠের মাধ্যমে মজলিস শুরু হয়।ত্বহা সিদ্দিকী তিনি বলেন সারা ভারত বর্ষের পাশাপাশি এই বাংলায় ও পরিকল্পিত ভাবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন ছিন্ন করতে অপশক্তির একটা কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে বিজেপি নামক একটা রাজনৈতিন দল। বিশেষ করে বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী কে তীব্রভাবে আক্রমণ করেন ত্বহা সিদ্দিকী,তিনি বলেন শুভেন্দু বাংলায় একটা নির্দিষ্ট ধর্মকে বাড়ে বারে কুটুক্তি ও বাজে বাজে মন্তব্য করছে সেটা বাংলার সংখ্যালঘুদের সম্মানে আঘাত লাগছে। শুভেন্দু অধিকারীর মাথা খারাপ হয়ে গেছে অতি তাড়াতাড়ি ওর মাথার ডাক্তার দেখানো প্রায়োজন। এর সম্পূর্ণ উল্টো ছবি দেখা গেল দি সহরারাহাট নার্সিং হোমে এক ইফতার মজলিসে। সেখানে হিন্দু, মুসলিম সহ সকল ধর্মের মানুষ ইফতারে (Iftar) এসে সম্প্রীতির বার্তা দিলেন।এই ইফতার অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন এলাকার ইমাম মোয়াজ্জেম বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ প্রমুখ। দি সহরারহাট নার্সিং হোমের কর্ণধার জাহির ইসলাম জানান, এই ইফতার মজলিস কোনও রাজনৈতিক উৎসব নয়। শুধু মুসলিমরা নন, সব ধর্মের মানুষ এখানে হাসি মুখে এসেছেন ও একসঙ্গে সকলে ইফতার করলেন।ত্বহা সিদ্দিকী তিনি আরও জানান বাংলা সব ধর্মের সংস্কৃতির পীঠস্থান। তবে ধর্মের উস্কানি দিয়ে বাংলাকে অশান্ত করতে চাইছে যারা, আগামী নির্বাচনে মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে, এমনটাই মত প্রকাশ করেন।
প্রসঙ্গত, এই ইফতার মজলিসে প্রায় পাঁচ শত মানুষ অংশগ্রহণ করেন।ইফতারের পূর্বে আয়োজিত মতবিনিময় সভা টি সকলের মধ্যে একতা ও সংহতির বার্তা পৌঁছে দেয়, যা উপস্থিত সকলের মাঝে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ রা জানান, এই ধরের উদ্যোগ সমাজে ঐক্য ও সম্প্রীতি গড়ে তুলতে সহায়ক হবে এবং আগামী দিনে বৃহত্তর কল্যাণমূলক কার্যক্রমের ভিত্তি স্থাপন করবে। তারা ভবিষ্যতে এমন আরো আয়োজনের মাধ্যমে সমাজের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। বিশ্ব মানবের কল্যাণে ও শান্তির কামনা করে দোয়ার মধ্যে দিয়ে ইফতারের দোয়ার মজলিস শেষ করেন পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকী।