বিশ্বজিৎ দে, উত্তর ত্রিপুরা : ২০২৩ এর বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ভাঙাগড়ার খেলা শুরু হয়েছে । যত দিন যাচ্ছে এই প্রবণতা প্রচন্ডভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে । বন্ধুর নাম সুদীপ বলে ধর্মনগরে সুদীপ রায় বর্মণের একনিষ্ঠরা এতদিন যারা কাজ করে চলেছে আজ দলীয় কোন্দলে জর্জরিত হয়ে সেই সুদীপ পন্থীরা ধর্মনগরে আর কেউ রইল না বলা যায় । শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে স্বপন তালুকদারের নেতৃত্বে ২৫০ পরিবারের ১৯৩৬ জন কংগ্রেস দলের সমর্থক কংগ্রেসের সংক্রর ত্যাগ করল । তারা জানায় কংগ্রেসে এতদিন যারা দুর্দিনে দলের জন্য সংগ্রাম করেছে এখন এই দলে তাদের কোন জায়গা নেই । অন্যান্য দল থেকে যে নবাগতরা এসেছে তাদের প্রাধান্যে কংগ্রেস দল তছনছ হয়ে যাচ্ছে । উত্তর ত্রিপুরার সাতটি বিধানসভা এলাকায় কংগ্রেসের যে অবস্থা দাঁড়াচ্ছে তাতে সবগুলি কেন্দ্রে কংগ্রেসের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে বলে তাদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে ।
তারা আরো জানায় , নির্বাচনের প্রাক্ মুহুর্তে এইভাবে কংগ্রেসের ঘরে আরও ভাঙন দেখা যাবে বলেও তারা দাবি করে । এক সময় সুদীপ রায় বর্মণের হাত ধরে একটা বিশাল অংশের জনগণ ধর্মনগরের জেলা কংগ্রেস ভবনে কংগ্রেসে যোগদান করেছিল । তারপর উত্তর জেলায় কংগ্রেস একটা শক্তিশালী পরিস্থিতি বানিয়েছিল । এখন পুনরায় তাদের সাইনবোর্ড সর্বস্ব হওয়ার উপক্রম দেখা দেবে বলে দলত্যাগীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে । কুর্তি – কদমতলা কেন্দ্রের খুব কংগ্রেসের সভাপতি এবং যুবরাজনগর কেন্দ্রের যুব কংগ্রেসের সভাপতি আজ এই দলত্যাগীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ।
সুত্রের খবর , আজ অর্থাৎ শুক্রবার রাতে স্বপন তালুকদারের সাথে তৃণমূল কংগ্রেসের সুস্মিতা দেব , পীযূষ বিশ্বাস এবং রাজীব ব্যানার্জি সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎকারে আসছেন বলে খবর । তবে নির্ভরযোগ্য সূত্রে খবর হলো ধর্মনগরের সদ্য কংগ্রেস থেকে দলত্যাগী এই অংশ তৃণমূল কংগ্রেসেই শামিল হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল ।