নিউজ ডেস্ক, নিউজ দিগন্ত বার্তা : এবার ঝাড়গ্রামের সাধু রাম চাঁদ মুর্মু বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতি বছর থেকেই কুড়মালি ভাষায় এমএ করতে পারবেন পড়ুয়ারা। আর এই খবর জানতে পেরে অত্যন্ত খুশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কুড়মালি ভাষার স্বীকৃতির দাবি ছিল বহুদিনের। সেই ভাষার স্বীকৃতি দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও কুড়মালি ভাষায় কবিতা লিখেছেন। সব আঞ্চলিক ভাষাকেই সম্মান জানায় রাজ্য সরকার। বর্তমান সরকারের আমলে জঙ্গলমহলে অনেক উন্নতি হয়েছে। এবার ঝাড়গ্রামের সাধু রাম চাঁদ মুর্মু বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতি বছর থেকেই কুড়মালি ভাষায় এমএ করতে পারবেন পড়ুয়ারা। আর এই খবর জানতে পেরে অত্যন্ত খুশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কুড়মালি ভাষার স্বীকৃতির দাবি ছিল বহুদিনের। সেই ভাষার স্বীকৃতি দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও কুড়মালি ভাষায় কবিতা লিখেছেন। সব আঞ্চলিক ভাষাকেই সম্মান জানায় রাজ্য সরকার। বর্তমান সরকারের আমলে জঙ্গলমহলে অনেক উন্নতি হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, এই কোর্সটি করতে ইচ্ছুক পড়ুয়ার সংখ্যা যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য। আর সেকারণেই আমরা আসন সংখ্যা ৫০-এ নিয়ে যাচ্ছি। উল্লেখ্য, কয়েকমাস আগেই পুরুলিয়ায় গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কুড়মালি ভাষাতেও তাঁর কবিতা রয়েছে। কুড়মিদের দীর্ঘদিনের দাবি, এ রাজ্যে স্কুল ও কলেজস্তরে কুড়মালি ভাষায় পঠনপাঠন চালু হোক। জঙ্গলমহলের ৪২ শতাংশ মানুষের ভাষাকে সরকারি স্বীকৃতি দেওয়ারও দাবি তোলে কুড়মি সংগঠনগুলি। আর তারপরই মুখ্যমন্ত্রী সেই ভাষার স্বীকৃতি দেন। পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, বিহার, ওড়িশা, ছত্তীসগঢ় ও অসমে বসবাসকারী কুড়মালিভাষীর সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে ৩৫ লক্ষ কুড়মি রয়েছেন। পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলার পাশাপাশি, দুই চব্বিশ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদহ ও দুই দিনাজপুরেও কুড়মিভাষীরা রয়েছেন। জঙ্গলমহলের তিন জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায় বসবাসকারী মোট জন সংখ্যার ৪২ শতাংশ মানুষ কুড়মালি ভাষায় কথা বলেন।