নিউজ ডেস্ক,নিউজ দিগন্ত বার্তা: রাজ্যের তফসিলি জাতিভুক্ত মহিলাদের একাংশের জাতিগত শংসাপত্র না থাকার জন্য ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’(Lakshmir Bhandar)প্রকল্পের পুরোপুরি সুবিধা দেওয়া যাচ্ছে না। তাই দ্রুত তাঁদের যাতে কাস্ট সার্টিফিকেট দেওয়া হয় তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিল নবান্ন। তবে জাতি শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের। শীর্ষ মহলের নির্দেশ, বর্তমান সময়ের তুলনায় আরও উচ্চপর্যায়ে আবেদনপত্র যাচাইয়ের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
রাজ্যের মহিলাদের আর্থিক ক্ষেত্রে স্বনির্ভর করে তোলার লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালু করেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। সেই প্রকল্পে এখন রাজ্যের ২ কোটি ৭ লক্ষ মহিলা প্রতি মাসে আর্থিক সুবিধা পান রাজ্য সরকারের কাছ থেকে। এই প্রকল্পে তফসিলি জাতি এবং তফসিলি উপজাতির মহিলারা প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা করে পান। অন্যরা পান মাসে ৫০০ টাকা করে। এই প্রকল্পের পিছনে এখন রাজ্য সরকারের প্রতি মাসে ১ হাজার ১৩৫ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। এখন রাজ্য জুড়ে অষ্টম দুয়ারে সরকার কর্মসূচি চলছে। মনে করা হচ্ছে সেখানে আরও প্রায় ৬ লক্ষ মহিলাদের আবেদন জমা পড়বে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ এসেছে যে রাজ্যের বহু মহিলা বিশেষ করে তফসিলি জাতিভুক্ত মহিলারা কাস্ট সার্টিফিকেট পাচ্ছেন না। ফলে তাঁরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুযোগও নিতে পাচ্ছেন না। এবার সেই কারণেই নবান্ন থেকে সরাসরি নির্দেশ গিয়েছে সরকারি আধিকারিকদের কাছে যে চলতি দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে তফসিলি জাতিভুক্ত মহিলাদের জাতিগত শংসাপত্র দ্রুত প্রদান করতে হবে।
নবান্ন সূত্রের দাবি, এ রাজ্যে তফসিলি জনজাতিভুক্ত মানুষের জনসংখ্যা প্রায় ৬.৫% এবং তাঁরা ৮টি লোকসভা এবং ৩২টি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ফলাফলে প্রভাব ফেলতে সক্ষম। সেই অর্থে লোকসভা নির্বাচনের আগে নবান্নের নির্দেশ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। দেখা যাচ্ছে যে সব মহিলা অভিযোগ জানিয়েছে যে তাঁদের জাতিগত শংসাপত্র না থাকার জন্য তাঁরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুযোগ নিতে পারছেন না তাঁরা এখন প্রতি মাসে ওই প্রকল্পের মাধ্যমে ১ হাজার টাকার বদলে ৫০০ টাকা করে পাচ্ছেন। তাঁরা যাতে যথাযথ প্রাপ্য পান তা নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার।