শিক্ষকদের স্কুলে ঢুকতে বাধা।
নিজস্ব সংবাদদাতা, মথুরাপুর : নায্য ডিএ-র দাবিতে গতকাল ধর্মঘটে সামিল হয়ে স্কুলে না আসায় প্রধান শিক্ষিকা ও এক সহ শিক্ষককে স্কুলে ঢুকতে বাধা দিল তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘির টাঙ্গিতলা এফপি স্কুলের ঘটনা। শনিবার বেলা এগারোটার আগে থেকে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার রুম সহ মিড ডে মিলের রুমে তালা লাগিয়ে দেয় শাসক দলের কর্মী-সমর্থকরা বলে অভিযোগ। গতকাল কেন স্কুলে আসেননি তা নিয়ে রীতিমত সাশাতে থাকেন সমর্থকরা। প্রধান শিক্ষিকা ও সহ শিক্ষককে উদ্দেশ্য করে রীতিমত হুমকি দিয়ে স্কুলে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ প্রধান শিক্ষিকার। কটুক্তি করা হয় বলেও অভিযোগ প্রধান শিক্ষিকা কাবেরী দাস সরকারের, তিনি বলেন গতকাল ধর্মঘটকে সমর্থন করার কারণেই এই আচরণ।অবশ্য পরে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা স্কুল চত্বর ছেড়ে চলে যায়।
মথুরাপুর-২ যুব তৃণমূল ব্লক সভাপতি উদয় হালদার এই ঘটনায় দলের যোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, এরকম কাজে দলের কোন নির্দেশ নেই। যদি থাকতো তাহলে সমস্ত স্কুলে এরকম ঘটতো। স্থানীয় বাসিন্দারা এই কাজ করেছে বলে তাঁর দাবি। তবে শিক্ষক শিক্ষিকারা গতকাল স্কুলে না এসে খুব ভুল করেছেন।

সিপিএম নেতা দেবাশিস ঘোষ বলেন, এই তৃণমূল পার্টিটি অশিক্ষিতদের পার্টি। ওরা পৈতৃক সম্পত্তি মনে করে রাষ্ট্রীয় সম্পত্তিকে। সংবিধানকে মান্যতা দেয় না তৃণমূল কংগ্রেস। এই লুটেরা স্কুলগুলো দখল নিতে চাইছে। শিক্ষিকারা আন্দোলনের সামিল হয়েছে বলে এইভাবে তালা মারতে পারেনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, ধিক্কার জানাই।

বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি প্রত্যুৎ বৈদ্য জানান, এই বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক শিক্ষিকা কলকাতায় ডি এ নিয়ে একটি আন্দোলনে সামিল হয়েছিল, সে কারণে এদিন তৃণমূলিরা স্কুলে তালা মারে এবং তাদের বিদ্যালয়ে ঢুকতে দেয়া হয়নি। শিক্ষকরা যদি তাদের ন্যায্য দাবি নিয়ে আন্দোলন করে বা ধর্মঘট করে এই তৃণমূল সরকার তাদের ওপর স্বৈরাচার তান্ত্রিক রাজ চালাচ্ছে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সবাই আন্দোলন প্রতিবাদ করতেই পারে। কিন্তু সেটাকে কণ্ঠরোধ করতে চাইছে এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তৃণমূলীরা যে ঘটনা ঘটিয়েছে তা অত্যন্ত লজ্জাজনক।