বাইজিদ মণ্ডল, ডায়মন্ড হারবার: কালভার্টের এক পাশ ভেঙে গর্ত তৈরি হয় প্রায় এক মাস আগে। এরপর দিনে দিনে গর্ত বড় হয়েছে, কিন্তু ভাঙা অংশ সংস্কার হয়নি। দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন যানবাহন সাধারণ মানুষ। এটি ডায়মন্ড হারবার ১ নম্বর ব্লকে বাসুল ডাঙ্গা অঞ্চলে পঞ্চগ্রাম এর শেষ ও চাঁদা গ্রামের শুরুতে একটি কালভার্টের বেহাল অবস্থান। প্রায় এক কিলোমিটারের বেশি এই কংক্রিটের রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন দু তিন টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। রাস্তার কালভার্টটি ভেঙে গিয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ১ মাস আগে কালভার্টটির মাঝ বরাবর অনেকখানি জায়গা ভেঙে গেলেও এখন পর্যন্ত তা সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়নি বলে দাবি এলাকাবাসীদের। রাস্তা দিয়ে আসা-যাওয়া করা পথচারী ও যানবাহন চালক সহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার জনসাধারণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে যাতায়াতে ভোগান্তিতে পড়ছে প্রতিনিয়ত। বিপদজনক কালভার্টের বিশাল গর্তে ছোট-বড় নানা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পথচারীরা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কালভার্টটির অর্ধেক অংশের ঢালাই ধসে গিয়েছে, দেখা দিয়েছে বিশাল গর্ত। বাকি যেটুকু আছে তাও যে কোন মুহূর্তেই ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে রাতের বেলায় এই কালভার্টের ওপর দিয়ে যাতায়াতকালে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়ে যায়। স্থানীয়রা জানান, হাটবাজারে কৃষিপণ্য সরবরাহ করা, হাসপাতালে রোগী নিয়ে যাতায়াতে কিংবা অন্যান্য কাজে বাজারের সাথে যোগাযোগ করতে প্রতিদিন এই রাস্তায় কয়েকশ মোটরসাইকেল, টটো ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীসহ আসা-যাওয়া করে। এছাড়াও চাঁদা গ্রামের শত শত স্কুল পড়ুয়া সহ প্রাথমিকের গন্ডি না পেরোনো শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের প্রধান রাস্তা এটি। প্রাণঘাতী কোন দুর্ঘটনা ঘটার আগে খুব দ্রত এখানে একটি নতুন কালভার্ট মেরামতের দাবি স্থানীয়দের। স্থানীয় টটো চালক রা বলেন,এই খানে গাড়ি চালাতে আমাদের অনেক সমস্যা হয়। যতটুকু সম্ভব সাবধানে চালাই কিন্তু অনেকেরই খেয়াল থাকে না। চলতি অবস্থায় অনেকে এসে গর্তের মুখে পড়ে দুর্ঘটনার স্বীকার হয়। আমরা চাই এইখানে নতুন একটা মজবুত ভাবে কালভার্ট নির্মাণ করা হোক।
উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগে তৎকালীন গ্রাম সদস্য আনোয়ার লস্করের আমলে এটি নির্মাণ করা হয়েছিলো। স্থানীয় এক মহিলা জানান, কালভার্টটি তো অনেক আগে কোনরকম জনসাধারণ মানুষ ও হালকা যানবহন চলার জন্য নির্মান করা হয়েছিল, এখন এর উপর ভারী যানবাহন চলাচল এর জন্য যার কারনে এটি ভেঙে এখন নাজেহাল অবস্থা। এখানে ভেঙে গর্ত তৈরি হওয়ায় ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের স্কুলে যাতায়াতে সমস্যা পোহাতে হয়। মোটরসাইকেলে ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীরা আসা-যাওয়া করে, এটি খুবই ঝুঁকিপূর্ন। সরকারি ভাবে নতুন করে কখন পুনরুদ্ধার এটা হবে সেটা এখন দেখার অপেক্ষায়।