উদ্ধার হল জালিয়াতি করে নিয়ে যাওয়া টাকা ও সোনা।
বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী: শ্রীরামপুর থানার অসামান্য সাফল্য। আয়কর আধিকারিক সেজে সোনা গলানোর দোকান থেকে জালিয়াতি করে নিয়ে যাওয়া টাকা ও সোনা দশ দিনের মধ্যে উদ্ধার করলো শ্রীরামপুর থানার পুলিশ। ভুয়ো আয়কর আধিকারিক পরিচয় দিয়ে লক্ষাধিক টাকা জালিয়াতি করার অভিযোগে পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল শ্রীরামপুর থানার পুলিশ। জানা যায়, ২২শে নভেম্বর রাতে হুগলীর শ্রীরামপুর কুমিরজলার একটি সোনা গলানোর দোকানে কয়েকজন দুষ্কৃতি আয়কর আধিকারিক পরিচয় দিয়ে একশ গ্রাম সোনা ও প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় অজয় নামক উক্ত দোকানের মালিককেও গাড়িতে তুলে নেয়। এরপর দিল্লী রোডের একটি নির্জন জায়গায় রাস্তার উপরে অজয়কে নামিয়ে দিয়ে বামাল সমেত পালিয়ে যায় দুষ্কৃতিরা।
এই ঘটনায় ভুয়ো আধিকারিকদের বিরুদ্ধে শ্রীরামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ তদন্তে নামে। এসিপি শুভঙ্কর বিশ্বাস, আই সি দিব্যেন্দু দাস, তদন্তকারি অফিসার প্রবীন কুমার সিং এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল গঠন করা হয়। এই দলটি তদন্তে নেমে দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের গাড়িটি চিহ্নিত করে। পরদিন বুধবার ২৩শে নভেম্বর সেই গাড়িটি হাওড়ার গোলাবাড়ি থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করে বাজেয়াপ্ত করা হয়। গ্রেফতার করা হয় গাড়িটির চালক সন্তু মাইতিকে।
এরপর চালককে শ্রীরামপুর আদালতে পেশ করা হলে, আদালত চালককে পুলিশি হেফাজতে পাঠায়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশের তদন্তকারী দল অভিযুক্ত ভুয়ো আয়কর অফিসারদের খোঁজ পায়। ২৪শে নভেম্বর বৃহস্পতিবার বালিগঞ্জের কসবা থানা এলাকা থেকে চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে, শ্রীরামপুর আদালতে পেশ করা হলে এদের জেল হেফাজতে রাখা হয়। দুদিন পরে আদালতে টি আই প্যারেডের পর তদন্তের সুবিধার্থে অভিযুক্তদের পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়। অভিযুক্তরা হল সাগর কাপ্তে, প্রশান্ত মালিক, দাত্তা বাঙ্গেল ও চেতন প্রকাশ। অভিযুক্তরা সকলেই মহারাষ্ট্রের সাংলি জেলার বাসিন্দা। শনিবার ডিসিপি শ্রীরামপুর ড.অরবিন্দ আনন্দ সংবাদ মাধ্যমকে ঘটনার বিবরণ দিয়ে জানান ( ২/০২), ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে (১/০১) এক লক্ষ ছাপ্পান্ন হাজার টাকা, বৌবাজারের মা কালি জুয়েলারির দোকান থেকে ৪৩ গ্রাম সোনা উদ্ধার করা হয়েছে। আসামীদের থেকে চারটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অন্যান্য ঘটনার থেকে এটা একটা জটিল ঘটনা ছিল বলেও জানিয়েছেন ড. অরবিন্দ আনন্দ। ধৃতরা এই রকম আর কোনো অপরাধের সাথে যুক্ত কিনা জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে খতিয়ে দেখছে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ।