নিখোঁজ এবং মৃত মৎস্যজীবীর পরিবারদের শারদ অর্ঘ্য রূপে বস্ত্র বিতরণ।
নিজস্ব প্রতিনিধি, কাকদ্বীপ: প্রকাশিত হল সুন্দরবন পুজো গাইড ম্যাপ ২০২২। শারদ উৎসবের দিনগুলিতে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হবে কাকদ্বীপ শহর। শুক্রবার এসপি অফিসে সাংবাদিক বৈঠক করে এ বিষয়ে সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখার্জি জানান, প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হবে। এছাড়াও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে মহিলা পুলিশ, সিভিক ভলেন্টিয়ার্স, ভিলেজ পুলিশ সহ প্রচুর পুলিশ কর্মী। ভিড়ের মাঝে দুষ্কৃতীদের ধরতে মোতায়েন থাকবে সাদা পোশাকে পুলিশ। অন্যদিকে দুষ্কৃতীদের ধরতে স্কুটিতে করে কাকদ্বীপ শহরে টহল দেবে পুলিশের উইনার্স টিম। প্রতিটি পূজা মন্ডপে পুলিশ কর্মী ও সিভিক ভলেন্টিয়ার্স মোতায়ন করা হবে। তবে পুজোর দিনগুলিতে সন্ধ্যের পর থেকে কাকদ্বীপ শহরে যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। বিশেষত ভ্যান, টোটো, জিও গাড়ি, মেশিন ভ্যান, মোটরসাইকেল সহ ছোট গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রেও নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
নো এন্ট্রি থাকবে রাস্তা। ভিড় কমলে তবেই গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুমতি দেওয়া হবে। তবে সর্বক্ষণই পুলিশ প্রশাসনের বেশ কয়েকটি গাড়ি কাকদ্বীপ শহর জুড়ে টহল দেবে। কাকদ্বীপের বেশ কয়েকটি প্রধান এলাকায় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুসন্ধান কেন্দ্র তৈরী করা হবে। এই অনুসন্ধান কেন্দ্র গুলিত থেকে দর্শনার্থীরা সব রকমের সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। তবে কাকদ্বীপ চৌরাস্তার মোড়ে পুলিশ প্রশাসনের প্রধান অনুসন্ধান কেন্দ্রটি তৈরী করা হয়েছে। এছাড়াও কাকদ্বীপের প্রধান প্রধান এলাকাগুলিতে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো থাকবে।
মূলত এবছর দুর্গাপূজার দিনগুলিতে দর্শনার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি হবে ধরে নিয়ে, পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই অনুষ্ঠান থেকে সুন্দরবন পুলিশ জেলায় নিখোঁজ এবং মৃত মৎস্যজীবী মিলিয়ে মোট ১৮ পরিবারের ৫৫ জনের হাতে নতুন বস্ত্র প্রদান করা হয়। এদিনের অনুষ্ঠানে জেলা পুলিশ সুপার সহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সন্তোষ কুমার মন্ডল এবং জেলার অন্যান্য পুলিশ কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।