ডিজিটাল মিডিয়ার সংবাদ কর্মীকে হেনস্তার প্রতিবাদ। Digital Media
বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হাওড়া: রবিবার রাতে কর্মরত অবস্থায় এক সাংবাদিককে চুরান্ত হেনস্থা করে এক সাব ইন্সপেক্টর। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া জেলার আমতা এলাকায়। এরই প্রতিবাদে সরব হয়েছে “ডিজিটাল মিডিয়া ফাউন্ডেশন” এর সদস্যগন।
বর্তমানে সংবাদ মাধ্যমকে মাঝে মধ্যেই হেনস্থার শিকার হতে দেখা যায়। সাংবাদিক খবর তৈরী করে না। সমাজের চারপাশে যে ঘটনা ঘটছে সেটাই ডিজিটাল মিডিয়ার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে পৌছে দিচ্ছে। এতে অনেক সময় সাংবাদিকদের জীবনের ঝুঁকিও থেকে যায়। একটা সময় ছিল, যখন রেডিও, টেলিভিশন, সংবাদপত্র, এই সবের মাধ্যমে সংর্বদ প্রচার হত। ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তির মাধ্যমে তথ্যের প্রবাহকে গণতান্ত্রিক করেছে এই ডিজিটাল মিডিয়া। বর্তমানে ব্যস্ততম জীবনে এক জায়গায় বসে খবর দেখার যথেষ্ট সময় মানুষের কাছে নেই। সেই ক্ষেত্রে ডিজিটাল মিডিয়ার সাংবাদিকদের সৌজন্যে পথ চলতি মানুষের কাছে দ্রুততার সাথে খবর পৌছে যাচ্ছে। এর পরেও দেখা যাচ্ছে একাধিক সময়ে ডিজিটাল মিডিয়ার সাংবাদিকরা আক্রান্ত হচ্ছেন। এমন ভাবেই সংবাদকে সংগ্রহ করতে গিয়ে হাওড়ার আমতা থানার সাবইন্সপেক্টর সুব্রত ধারার হাতে আক্রান্ত হয়েছেন “রয়েল বাংলা”র সাংবাদিক রাকিবুল ইসলাম।
প্রশঙ্গত উল্লেখ্য, রবিবার রাতে হাওড়া গাজিপুর বটতলা এলাকায় দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকার কারনে সেখানকার স্থানীয় মানুষজন পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। সেই সময় রাকিবুল “লাইভ” করছিলেন, কথা বলছিলেন বিক্ষোভকারীদের সাথে। সেই সময় হঠাৎই সেখানে
উপস্থিত হন আমতা থানার এস আই সুব্রত ধারা। তিনি রাকিবুলকে ভিডিও করতে দেখে অশ্রাব্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকেন। রাকিবুল নিজের পরিচয় দেওয়ার পরও সুব্রতবাবু তার থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়, এবং তাকে আমতা থানায় তুলে নিয়ে যায়। সেই সময় রাকিবুল লাইভ করছিলেন, তাই এস আই সুব্রত ধারার কর্মকান্ড পুরোটাই রেকর্ড হয়ে যায়। থানায় বেশ কিছুক্ষণ বসিয়ে রাখার পর তাকে ছেড়ে দেয়। কিন্তু হুমকি দেয়,পরদিন অর্থাৎ সোমবার থানায় আবার দেখা করতে, অন্যথায় রাকিবুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলেও জানিয়ে দেয়। রাকিবুলের থেকে সব ঘটনা জানার পর গর্জে ওঠে ” ডিজিটাল মিডিয়া ফেডারেশন ” নামে সাংবাদিকদের একটি সংগঠন। যেখানে রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশ মন্ত্রী ডিজিটাল মিডিয়াকে মান্যতা দিয়েছেন, সেখানে একজন পুলিশ অফিসারের এ হেন আচরণ মেনে নেয়নি সংগঠন। সংগঠনের পক্ষ থেকে ঘটনাটি হাওড়ার সুপারিটেন্ডেন্ট অফ পুলিশকে জানানো হয়। এবং সোমবার হাওড়া রুরাল অ্যাডিশনাল সুপারিটেন্ডেন্ট অফ পুলিশ ড. জর্জ এ্যালেন জন এর সাথে দেখা করে এই বিষয়ে একটি অভিযোগ পত্রও জমা করে। এদিন এ ডি এস পি বলেন, সাংবাদিক এবং পুলিশের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ হওয়া উচিৎ। কর্মক্ষেত্রে একে অপরকে প্রয়োজন হয়। তাই সুব্রত ধারা যে কাজ করেছেন তা অনুচিৎ। বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন। এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর ঘটবে না বলেও আশ্বস্ত করেছেন।
বিস্তারিত দেখতে এখানে ক্লিক করুন https://youtu.be/jmb9dUBIgaw
এই প্রশঙ্গে ডিজিটাল মিডিয়া সংগঠনের সভাপতি দীপক ব্যাপারী জানিয়েছেন,অনেক সময় এই ধরনের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে, পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সাথে সাংবাদিকদেরও তুলে নেয়। অনেক ক্ষেত্র ভুল বসত হলেও এই ক্ষেত্রে ইচ্ছে করে অফিসার রাকিবুলকে তুলে নিয়ে গেছে। এবং অশালীন ভাবে গালাগাল করেছে। শুধু তাই নয় রাতে তাকে ছেড়ে দিলেও হুমকি দেওয়া হয় পরদিন থানায় এসে দেখা করতে অন্যথায় ব্যবস্থা নেবে। সাংবাদিকের উপরে এই অন্যায় ডিজিটাল মিডিয়া ফেডারেশন গুরুত্ব দিয়ে দেখেছে। এবং ঘটনার বিবরণ অ্যাডিশনাল এস পি কে লিখিত ভাবে সব জানানো হয়েছে। রাজ্যের যে কোনো প্রান্তে সাংবাদিকদের সাথে কোনো অন্যায় হলে সংগঠন তার পাশে থাকবে। পাশাপাশি দীপকবাবু সাংবাদিকদেরও স্বচ্ছ ভাবে কাছ করার কথাও বলেছেন।