Thursday, June 19, 2025
Ad

৩০ টাকা ও সামান্য জলে মুক্তি দূরারোগ্যব্যাধি?

Must read

কু-সংস্কার ও অন্ধবিশ্বাসের দেদার প্রচার দক্ষিণ দিনাজপুরে।

জয়দীপ মৈত্র, দক্ষিণ দিনাজপুর: প্রশাসনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বিজ্ঞানের যুগেও বুজরুকির দাপট দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সীমান্ত শহর হিলিতে। ত্রিমোহিনী হাই স্কুল মাঠে রীতিমতো প্যান্ডেল ও মাইক বাজিয়ে চলছে কু-সংস্কার ও অন্ধবিশ্বাসের দেদার প্রচার। আর যার আড়ালেই চলছে দুঃস্থ মানুষদের পকেট কাটবার কৌশল। এমনই ঘটনার সাক্ষী রইল হিলিবাসি।

মূলত বুজরুকি কান্ড কারখানা জমে উঠেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি ব্লকের ত্রিমোহিনী হাইস্কুল মাঠে। মাত্র ত্রিশ টাকার একটি টিকিট কেটে ভেতরে প্রবেশ করে মঞ্চে উপস্থিত ব্যক্তিদের সান্নিধ্যে পৌছালেই গায়েব হয়ে যাচ্ছে দূরারোগ্য সমস্ত ব্যাধি। এমনই দাবি সেখানে আসা ব্যক্তিদের। ক্যান্সার থেকে বন্ধ্যাত্ব, পেটের রোগ থেকে পিঠের রোগ। দাঁত ব্যাথা থেকে শুরু করে কান ব্যাথা শুধুমাত্র একটি ত্রিশ টাকার টিকিট আর সামান্য জলেই মিলছে মুশকিল আসান। অভিযোগ উঠেছে বিহার থেকে আগত কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, রীতিমতো তারস্বরে মাইক বাজিয়ে চলছে তার দেদার প্রচার। আর যার খপ্পরে পড়ে জেলা ও জেলার বাইরের বহু অজ্ঞ ও দুঃস্থ লোকেদের ভিড় উপচে পড়েছে এলাকায়। কেটে নেওয়া হচ্ছে খাওয়া ও থাকার বিনিময়ে মোটা অঙ্কের টাকাও। যেখানে চাঁদের বুকে চন্দ্রযান পাঠিয়ে গোটা বিশ্বকে তাক লাগাচ্ছে ভারত, ঠিক তখন হিলিতে খোদ প্রশাসনের নাকের ডগায় কিভাবে এমন তারস্বরে মাইক বাজিয়ে কু-সংস্কার ও অন্ধবিশ্বাসের দেদার প্রচার চলছে তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

যদিও এনিয়ে প্রশাসনের অনুমতি রয়েছে বলেই দাবি করেছেন “মুক্তির পথ চাঙ্গাই” সভার কর্তৃপক্ষ।
কৃষ্ণ বন্ধু মহন্ত ও এক আদিবাসী মহিলা বলেন, ক্যান্সার থেকে বন্ধ্যাত্ব সব দূর হয়ে যায় এখানে। এমনটা শুনে তারা তাদের সমস্যা নিয়ে হাজির হয়েছেন ও ত্রিশ টাকার টিকিট কেটেছেন। মালদার ইংরেজবাজার থেকে আগত মহম্মদ মোস্তাক বলেন, দু’দিন ধরে এখানে রয়েছেন। সাতশো টাকা নেওয়া হয়েছে তার কাছ থেকে। ছেলে কথা বলতে পারে না, যে সমস্যা নিয়ে তিনি হাজির হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সমস্ত বুজরুকি ব্যাপার চলছে এখানে। বিহার থেকে আগত মুক্তির পথ চাঙ্গাই সভার তরফে ইনোসেন্ট সরেন বলেন, তিনদিনের এই অনুষ্ঠানের জন্য বিডিও থেকে পুলিশ সকলের অনুমতি নেওয়া হয়েছে। মূলত বিশ্বাসের উপর ভরসা করেই ক্যান্সার থেকে অশ্ব সব রোগীরা সুস্থ হচ্ছে। এখানে কোনো ওষুধের ব্যবহার নেই, টাকা নেবার বিষয়ও নেই। অন্যদিকে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে প্রশাসন বলে সূত্রের খবর ।

- Advertisement -

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

Latest article