অলিতে গলিতে বিক্রি নেশার জিনিস।
বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী: দুয়ারে অনেক উন্নয়নের পাশাপাশি দুয়ারে মাদক, দুয়ারে গাঁজা পাওয়া যাচ্ছে। হ্যাঁ ঠিক এমনটাই শোনা যাচ্ছে হুগলীর উত্তরপাড়া পৌরসভার অন্তর্গত মাখলা শহরের বাসিন্দাদের থেকে। মাখলা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অলিতে গলিতে বিক্রি হচ্ছে মদ, গাঁজার মত নেশার জিনিস। রাতের অন্ধকারে নয়, একেবারে পুলিশের নাকের ডগাতেই প্রকাশ্য দিবালোকে রমরমিয়ে ব্যবসা চালাচ্ছে মাদক ও গাঁজা ব্যবসায়ীরা। গাঁজা বিক্রি বা কেনা নিষিদ্ধ জেনেও প্লাস্টিকের ছোটো ছোটো প্যাকেটে গাঁজা ভরে বিক্রি করা হয়। ফলে সহজেই পাওয়া যাচ্ছে নেশার দ্রব্য। এই কারণে সরাসরি প্রভাব পরছে যুব সমাজের উপর। বড় থেকে ছোট এমনকি অপ্রাপ্ত বয়স্করাও হাতের কাছে পেয়ে নেশাগ্রস্থ হয়ে পরছে। অথচ পুলিশের কাছে এই সব অপরাধ মুলক কাজের কোনো খবর নেই। এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশ প্রশাসনের দিকেই আঙ্গুল তুলেছে। নাম না বলতে চাওয়া এক মহিলা বলেন এলাকায় এই ব্যবসা বহুদিন ধরে চলছে। প্রশাসনিক নিস্ক্রিয়তার কারণে এই নিষিদ্ধ ব্যবসা উত্তোরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোতরং উত্তরপাড়া পৌর সভার পৌরপ্রধান দিলীপ যাদব, উপপৌর প্রধান খোকন মন্ডল এই মাখলা শহর থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন। উত্তরপাড়া শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ইন্দ্রজীৎ ঘোষ মাখলারই বাসিন্দা। অথচ সেই মাখলাতেই যুব সমাজ ধ্বংসকারী নিষিদ্ধ মাদক ও গাঁজার রমরমা ব্যবসা। তাও আবার দিনের আলোয়। সংবাদ মাধ্যমের থেকে এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর নড়েচড়ে বসে পুলিশ। গাঁজা বিক্রির ফুটেজ দেখে দুজন গাঁজা বিক্রেতাকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হয়েছে । উদ্ধার হয়েছে কয়েক প্যাকেট গাঁজা। তবে পুলিশের তরফে তার পরিমান জানানো হয়নি।
শনিবার রাতে এই খবর জানিয়েছেন চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক। ধৃতদের নাম বুড়ো মাড়িয়া ও সঞ্জয় মুড়াও। এই বিষয়ে উপ পৌর প্রধান খোকন মন্ডল বলেন, উত্তরপাড়া থানার পুলিশকে আরও সক্রিয় হতে হবে। অপরাধীদের চিহ্নিত করে তাদের ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি এও বলেন, উত্তরপাড়া থানা থেকে মাখলায় আসতে হলে অনেকটা সময় লাগে। একটা রেল গেট রয়েছে সেটা পেরিয়ে আসতে হয়। যদি মাখলায় একটা টাউন আউট পোস্ট থাকতো তাহলে কাজ করতে সুবিধা হত। পুলিশের টহলদারি বাড়লে অপরাধীরা ভয় পাবে। এর ফলে অপরাধমূলক কাজ কমবে। এই প্রশঙ্গে পৌরপ্রধান দিলীপ যাদব বলেন, পুলিশের কাছে এই বেআইনি ব্যবসার কোন খবর থাকলে পুলিশ নিশ্চিত ভাবে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিত। যদি এলাকার মানুষের কাছে কোনো অপরাধ মূলক কাজের খবর থাকে তাহলে প্রশাসনকে জানালে,বা পৌর প্রতিনিধিদের জানালে অবশ্যই অপরাধীদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে।