গোপাল শীল, পাথরপ্রতিমা : মাঝ নদী পর্যন্ত কাদায় হেঁটে গিয়ে উঠতে হয় নৌকাতে। আবার ভাটার কারণে মাঝ নদীতে বসে থাকতে হয় নৌকাতে। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমা ব্লকের যুধিষ্ঠি জানা খেয়া ঘাটের।
আগের সরকারের আমলে যা ছিল বর্তমানে সরকারের প্রায় ১২ বছরের জামানাতে একই দুর্দশা এলাকাবাসীর। পরিবর্তনের ছিটে ফোঁটা পর্যন্ত নেই অভিযোগ নিত্যযাত্রীদের।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ছোট রাক্ষস খালী, বড় রাক্ষস খালী, ব্রজবল্লভপুর দ্বীপ সহ এলাকার হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন পাথরপ্রতিমা, কাকদ্বীপ, কলকাতা যাওয়া আসার জন্য এই নৌকা ফেরিতে পারাপার করতে হয়। এই দ্বীপ অঞ্চলের মানুষের এটাই একমাত্র রাস্তা। আর কোটালের কারণে ভাটার সময় যাত্রীদের দুর্ভোগের শেষ থাকে না। এক হাঁটু কাদা মাড়িয়ে নৌকাতে ওঠা নামা করতে হয়। তবে মাঝেমধ্যে যাত্রীদের দুর্ভোগের শেষ থাকে না। ঘন্টার পর ঘন্টা নৌকাতে মাঝপথে বসে থাকতে হয়।

যাত্রীদের অভিযোগ, রাক্ষস খালি এলাকায় যে জেটিঘাট রয়েছে ইটের ব্লক ফেলে তা কংক্রিটের জেটি তৈরি করা হোক। তাহলে এলাকার মানুষ এই দুর্ভোগের হাত থেকে রক্ষা পাবে। গত কয়েক মাস আগে জেটির নিচের দিকে ইটের তৈরি ব্লক ফেলা হয়েছিল, বর্তমানে সেই ইটের উপরে পলি জমে যাতায়াত করার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। পলিগুলো সরানো হচ্ছে না, দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছর একই অবস্থা।
এ বিষয়ে সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম চন্দ্র হাজরা বলেন, জোয়ার-ভাটার উপর কারো হাত নেই। তবে আগামী দিনে চেষ্টা করা হচ্ছে নিচ পর্যন্ত জেটি করার জন্য।