বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী: ৪২ শের লড়াইয়ের প্রথম মনোনয়ন জমার দিন ছিল শুক্রবার। আর প্রথম দিনেই মনোনয়ন জমা করলেন শ্রীরামপুর পার্লামেন্টের তৃণমূল কংগ্রেসের পদপ্রার্থী তথা এই লোকসভার তিন বারের সাংসদ কল্যান ব্যানার্জী। এদিন হুগলীর উত্তরপাড়ার একটি মন্দিরে পূজো দিয়ে কল্যান মনোনয়ন জমার পথে যাত্রা শুরু করেন। হুট খোলা গাড়িতে করে যাওয়ার সময় চাঁপদানী পর্যন্ত জিটি রোডের পাশে থাকা সব মন্দিরে পূজো দেন কল্যান। এরপর তিনি পৌছান চুঁচুড়ার ভূমি ও ভূমি সংস্কার কার্যালয়ে। সেখানে এ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট শ্রীমতি কুহুক ভুষনের হাতে মনোনয়ন জমা করেন। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, এবার প্রার্থী হিসাবে পথ চলা শুরু। দেড় লক্ষেরও বেশী ভোটে তিনি জিতবেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, তাঁর সমর্থকরা দাবী জানিয়েছেন মার্জিনটা দুই লক্ষ করতে হবে। এটাই একটু চাপ। তিনি এই কেন্দ্রের তিন বারের সাংসদ। মানুষের জন্য অনেক কাজ করেছেন। মানুষ তাকে চতুর্থ বারের জন্য চাইছে। এদিন বিরোধীদের কটাক্ষ করে তিনি বলেন, অন্যের নামে বদনাম করে জীবনে বড় হওয়া যায় না। তবে সমর্থকদের দাবী মেনে মার্জিন দুই লক্ষ করার ক্ষেত্রে আশাবাদী কল্যান ব্যানার্জী।
এদিন প্রথম থেকেই অসংখ্য কর্মী সমর্থকদের সাথে কল্যান ব্যানার্জীর পাশে ছিলেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিষ চক্রবর্তী, এবং চাঁপদানীর বিধায়ক অরিন্দম গুইন। দেখা পাওয়া যায়নি উত্তরপাড়ার বর্তমান বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের। তবে এদিন প্রথম থেকেই প্রাক্তন বিধায়ক প্রবীর ঘোষালকে (যিনি এক সময়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন) কল্যানের সাথে কল্যানের পাশে দেখা গেছে। তবে কি কাঞ্চন ব্রাত্য, কোণঠাসা? এই বিষয় নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধীরা।