বিহারে রহস্য মৃত্যু হুগলির এক ছাত্রের।
বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী : হুগলী জেলার বৈদ্যবাটি পৌরসভার অন্তর্গত সাত নম্বর ওয়ার্ডের, জগবন্ধু মুখার্জী লেনের কুড়ি বছরের সুরম্য সাঁতরা পড়তে গিয়েছিলেন বিহারের মজফ্ফরপুরের বাবু রাজেন্দ্র প্রসাদ কেন্দ্রীয় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল। উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসেই থাকত। বৃহস্পতিবার হঠাৎই রাত তিনটের সময় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সুরম্যর বাড়িতে জানানো হয়, সুরম্য ছাত্রাবাসের ছাদ থেকে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

অবশ্য সেখানেই চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়। খবর পেয়েই সুরম্যর বাবা-মা পরিজনেরা বিহারের উদ্যেশ্যে রওনা দিয়ে শুক্রবারে সেখানে পৌছান।
তাদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ তাদের পৌছানোর আগেই দেহ ময়না তদন্ত করে। এরপর হাসপাতাল থেকে ১৫ কিমি এবং ছাত্রাবাস থেকে ১০০ কিমি দুরে অ্যাম্বুলেন্সে সুরম্যর দেহ নিয়ে ওরা পাটনা – কোলকাতা হাইওয়ের বক্তিয়ারের নির্জন এলাকায় অপেক্ষারত ছিল। সেখানেই একটি সাদা পেপারে সই করিয়ে সুরম্যর মরদেহ তুলে দেওয়া হয় তাদের হাতে। বাড়িতে ফিরিয়ে আনার পর শনিবারই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।
সুরম্যর বাবা সুশান্তর দাবি তাঁর ছেলেকে খুন করা হয়েছে।
এই বিষয়ে সুশান্তবাবুর বন্ধু মইনুল হক বলেন, দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে। কিন্তু প্রশ্ন হল, আত্মীয় ছাড়া মৃতদেহের তড়িঘড়ি ময়নাতদন্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষকে দেহ দেওয়া, গভীর রাতে হাইওয়ের নির্জন স্থানে দেহ নিয়ে অপেক্ষা, সাদা পেপারে সই করিয়ে পরিবারকে দেহ হস্তান্তর, এই সব কিছুই অস্বাভাবিক বলে মনে হচ্ছে। হাসপাতাল কতৃপক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া ও সুরম্যর মৃত্যুর পূর্ণাঙ্গ তদন্তেরও দাবি জানান তিনি।
সুরম্যর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ পরিবার পরিজনেরা।