বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী : মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি বৈপ্লবিক প্রকল্প। পশ্চিমবঙ্গের গ্রামবাংলার মানুষ উন্নয়নের এক নতুন আস্বাদ পেয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই কর্মসূচিকে সম্পূর্ণ ভাবে বাস্তবায়ন করতে পেরেছে। এই প্রকল্প নিয়ে শনিবার পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের উদ্যোগে হুগলীর চুঁচুড়া রবীন্দ্রভবনে একটি কর্মসূচি পালিত হয়। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সিঙ্গুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী বেচারাম মান্না।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মিশন নির্মল বাংলার ডিরেক্টর সন্তোষ গুপে রামচন্দ্রন, হুগলীর জেলাশাসক পি দিপাপ প্রিয়া, বৈদ্যবাটি পৌরসভার পৌরপ্রধান পিন্টু মাহাতো, চুঁচুড়া পৌরসভার পৌরপ্রধান অমিত রায়, জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধারা সহ হুগলী জেলার পঞ্চায়েতের সকল প্রধান প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যাক্তিগন। প্রদীপ প্রজ্বোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন বেচারাম মান্না।
মিশন নির্মল বাংলার প্রকল্পগুলো নিয়ে ডাইরেক্টর সন্তোষ গুপে রামচন্দ্রন স্ক্রিনের মাধ্যমে তাঁর বক্তব্যে বুঝিয়ে বলেন শৌচাগারের নালা এবং নিকাশিনালা তৈরির সঠিক পদ্ধতি। গঙ্গাকে দুষনমুক্ত করা, ভূতলে জলের ভারসাম্য বজায় রাখা, ডেঙ্গু দমনে মশা জন্মানোর প্রতিরোধ, ক্ষতিকারক প্লাস্টিক ব্যবহার প্রত্যাহার, পচনশীল দ্রব্যগুলো দিয়ে জৈব সার তৈরি, এই সকল বিষয়গুলো তিনি তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন। একই বিষয়ে বক্তব্য রাখেন পি দিপাপ প্রিয়া ও মন্ত্রী বেচারাম মান্না।
এই প্রশঙ্গে বেচারাম মান্না বলেন, মিশন নির্মল বাংলার যে প্রকল্পগুলো রয়েছে সেগুলো যাতে হুগলী জেলায় দ্রুত রূপায়ন করা যায় এদিনের কর্মসূচির এটাই ছিল মূল লক্ষ। এবং রাজ্যের প্রত্যেকটা জেলাতেই এই কর্মসূচি পালন করা হবে। এর ফলে সাধারণ মানুষ সার্বিক ভাবে এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করে বাংলাকে স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন করে তুলতে পারবে। অন্যথায় আগামী দিনে জল সংকট দেখা দিতে পারে। এছাড়াও ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার মত মারণ রোগ বাড়তে পারে। মুলত এই ধরণের সংকট থেকে মুক্তি হতে জনপ্রতিনিধিদের সাথে সাথে সাধারণ মানুষদেরও সচেতন করতে এই কর্মসূচি রাজ্যের সব জেলাতেই পালন করা হবে।