এবারে সিঙ্গুরে চালু হলো টেকনো ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনাল স্কুল। Techno India foundational School
বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী: বৃহস্পতিবার হুগলীর সিঙ্গুরে একটি ইংরাজী মাধ্যম স্কুল টেকনো ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনাল এর উদ্বোধন হল। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্কুলের কর্ণধার তথা রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না, হরিপালের বিধায়িকা ড. করবী মান্না, ত্বহা সিদ্দিকী, তারকেশ্বর আশ্রমের সন্যাসী শ্রীমদ্ দন্ডস্বামী সুরেশস্বরাশ্রম মোহান্ত মহারাজ, জেলা সভাধিপতি রঞ্জন ধারা, টেকনো ইন্ডিয়ার পদস্থ আধিকারিকগন, ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যাক্তি ও গুণী জনেরা। বিশিষ্ট জনেদের বক্তব্য শেষে প্রদীপ প্রজ্জ্বোলন করে স্কুলের উদ্বোধন করেন সুরেস্বরাশ্রম মোহান্ত মহারাজ। এই বিষয়ে শ্রীমদ্ সুরেস্বরাশ্রম মোহান্তি মহারাজ বলেন, শিক্ষাঙ্গন একটি মানুষ গড়ার কারখানা। শিক্ষা এবং জ্ঞান অর্জনের প্রাথমিক স্থান। যেখানে যথার্থ শিক্ষা পেলে ভালো মানুষ তৈরি হবে। ভালো মানুষ তৈরি করার জন্যই বেচারাম মান্না এই স্কুলটি তৈরী করেছেন। ছাত্র ছাত্রীদের জন্য একটা বৃক্ষ সমতুল্য। যেটা দেখার বিষয়, সেটা হল একটা বৃক্ষের পরিচয় তার ফলে। তাই আগামী দিনে এই এই গাছের ফলের গুনগত মান খুব সুন্দর ও সমৃদ্ধশালি হবে। এই স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা বিশ্বের দরবারে উপস্থিত হবে, এই আশা, ভরষা ও প্রার্থনা করছি।
স্কুলের প্রধান উদ্যোক্তা সিঙ্গুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, অনেক অভিভাবকদের ইচ্ছে তাদের সন্তান ভালো ভাবে ইংরেজি পড়তে, লিখতে ও বলতে শিখুক। সিঙ্গুরে ভালো কোনো ইংরেজি মাধ্যম স্কুল ছিলোনা। এই কারণে ছাত্রছাত্রীদের ডানকুনি, চন্দননগর, উত্তরপাড়া পড়তে যেতে হত। ফলে অনেকটা সময় যাতায়াতের কারণে নষ্ট হত। সকলেরই অবগত টেকনো ইন্ডিয়া পাবলিক স্কুলের নাম। ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবেই স্বনামধন্য সেই টেকনো ইন্ডিয়া পাবলিক স্কুলের সাথে টাই আপ করে, মা রক্ষাকালী মাতা ট্রাষ্টের উদ্যোগে সিঙ্গুরে টেকনো ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনাল নামে এই স্কুলটি তৈরি করা হল। এর ফলে ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াতের সময়টা বাঁচবে। সেই সময়টা তারা সকলে খেলাধুলো বা লেখাপড়া করতে পারবে।
বর্তমানে প্লেয়িং গ্রুপ, নার্সারি কেজি, ওয়ান, টু, থ্রি, ফোর পর্যন্ত অনুমতি পাওয়া গেছে। কিছু নিয়ম আছে, সেগুলো মেনে চললে এক বছর পর বারো ক্লাস পযর্ন্ত অনুমতি পাওয়া যাবে। যে সব অভিভাবকেরা ভালো স্কুল চাইছে, তাদের সন্তানদের এই স্কুলে পড়াতে পারবেন। নিশ্চিত ভাবে বলা যেতে পারে অন্যান্য স্কুলগুলোর থেকে সিঙ্গুরের এই স্কুলের গুণগত মান অনেক উন্নত হবে। বর্তমানে ইংরেজি বলতে ও লিখতে পারাটা অত্যন্ত প্রয়োজন। কারণ এটাই এখন প্রধান ভাষা।সব জায়গাতেই এই ভাষার প্রয়োজন হয়। স্বাভাবিক কারণেই সন্তানরা ইংরেজিতে পারদর্শী হয়ে উঠুক এটা সব বাবা মায়ের আশা। হুগলী, সিঙ্গুর, হরিপালের জন্য এটা খুবই আনন্দদায়ক খবর। বর্তমানে প্রায় সাতশো ছাত্রছাত্রী নিয়ে এদিন থেকে স্কুলের পথ চলা শুরু হল। আগামী দিনে এই মানুষ গড়ার কারখানার নাম সমৃদ্ধ হবে। এবং উত্তোরোত্তর ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলেও জানালেন মন্ত্রী বেচারাম মান্না।