নিজস্ব সংবাদদাতা, নিউজ দিগন্ত বার্তা: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে শাসক দলের বহু নেতা কর্মী মন্ত্রী থেকে থেকে শুরু করে বিধায়ক সাংসদরা যুক্ত হয়ে পড়ছে। সেই কারণেই বিরোধী থেকে সুরু করে আম জনতা বলছে – এই নিয়োগ দুর্নীতি একটা প্রতিষ্ঠানিক দুর্নীতি। পার্থ চ্যাটার্জির পরে এবার অপর মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। শনিবার ইডির বিশেষ আদালতে আত্মসমর্পণ করে আগাম জামিনের আবেদন করেন তিনি। ১০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে শর্তসাপেক্ষে অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হয় কারা এবং ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পমন্ত্রীকে। প্রাথমিক মামলায় চন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছিল ইডি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর এই প্রথম আবার রাজ্যের কোনও মন্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হল।
এর আগে ইডি চন্দ্রনাথের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল। সেখান থেকে নগদ ৪১ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছিলেন কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকেরা। পরে দু’বার ইডির দফতরে হাজিরা এড়ান চন্দ্রনাথ। গত মাসে হঠাৎই তিনি আবার ইডির দফতরে হাজিরা দেন। তবে তখন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল কি না, তা স্পষ্ট নয়। তার আগেই ইডি চার্জশিট দিয়ে দিয়েছিল। শনিবার আত্মসমর্পণ করে ব্যক্তিগত বন্ডে জামিনের আবেদন জানান চন্দ্রনাথ। ইডি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল। কিন্তু তা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। ব্যক্তিগত ১০ হাজার টাকার বন্ডে চন্দ্রনাথের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।