বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী : প্রকাশ্য দিবালোকে সর্ব সমক্ষে, পুলিশ ও মহিলা সিভিক ভলেন্টিয়ারের সামনেই দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারা হয়। ঘটনাটি ঘটেছিল ১৮ই জুলাই মালদা জেলার বামন গোলা থানার অন্তর্গত পাকুয়া হাটে। মধ্যযুগীয় এই বর্বরতার ঘটনা যেখানে ঘটেছিল সেই পাকুয়া হাটের ঢিল ছোড়া দুরত্বে একটা পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে। তবুও এই মহিলা নিগ্রহের ঘটনা ঘটেছে। এরই প্রতিবাদে ভারতীয় জনতা পার্টির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার মহিলা মোর্চার তরফ থেকে শ্রীরামপুর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয় সোমবার।

এই বিক্ষোভে সামিল ছিলেন শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার মহিলা মোর্চার সভানেত্রী শর্বরী সেন, সাধারণ সম্পাদিকা নন্দিতা দত্ত ধর সহ অন্যান্য কর্মীরা এবং শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মোহন আদক, হুগলীর ইনচার্জ, শ্যামল বসু প্রমুখ। শ্রীরামপুর বটতলার সামনে থেকে প্রায় এক থেকে দেড়শ জন বিজেপি সমর্থক ও মহিলা মোর্চার কর্মী সমর্থকরা মিছিল করে থানার সামনে আসে।

প্রথমে তারা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙ্গে থানায় প্রবেশ করার চেষ্টা করে। পুলিশ বাঁধা দিলে তারা থানার সামনে বসেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এই বিষয়ে শর্বরী সেন বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বলেন পশ্চিমবঙ্গে মহিলারা খুব সুরক্ষিত। কিন্তু মালদার ঘটনা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিল যে মহিলাদের সুরক্ষা বলে কিছু নেই। পুলিশ সব দেখেও চুপ করেছিল। এমন একটি নিন্দনীয়, ঘৃন্য ঘটনার প্রতিবাদ জানাতেই এই বিক্ষোভ।
শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মোহন আদক বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলাদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ।যতবারই পশ্চিমবঙ্গে মহিলারা ধর্ষিত হচ্ছে, হেনস্থার শিকার হচ্ছে ততবারই মুখ্যমন্ত্রী সেই মহিলাকেই দোষী সাব্যস্ত করছেন। মহিলা ও শিশু সুরক্ষা মন্ত্রী শশি পাঁজা বলেছেন শুধু কাপড় খুলে নেওয়া হয়েছে। একজন মহিলা হয়ে তিনি কি করে এমন কথা বলতে পারেন ভেবে অবাক লাগছে। এই ঘটনা একবার নয় বারবার হচ্ছে।
মনিপুরের ঘটনা নিয়ে বিরোধী শিবির চুপ কেন? এই প্রশঙ্গে মোহনবাবু বলেন ভারতবর্ষের কোথাও মহিলাদের নিগ্রহ করা মানেই অত্যন্ত নিন্দনীয়। ভারতীয় জনতা পার্টি কখনই অন্যায়কে সমর্থন করেনা। ভবিষ্যতেও করবেনা।