নিজস্ব প্রতিনিধি, কুলপি : বাংলার দুর্গাপুজো বিশ্বের দরবারে স্থান পাওয়ায় রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে মানুষের আবেগ। পুজো কটা দিন তারা আনন্দ উৎসবে মেতে থাকবে। কারণ বাঙালির সেরা উৎসব হলো এই দুর্গাপুজো। আর এর জন্য মানুষ সারা বছর অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকে।
শুক্রবার বিধায়কের উদ্যোগে দুর্গাপুজোর আগমনী বার্তা দিতে কুলপি ব্লকের বিডিও অফিস থেকে কুলপি বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। কুলপির বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার ও সুন্দরবন জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী পূর্ণিমা হাজারী নস্কর সহ কয়েকশ মহিলা এই শোভাযাত্রায় পা মেলান। পাশাপাশি কুলপি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুপ্রিয় হালদার, কুলপি ব্লক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সনাতন সরদার, যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি শামসুর আলম মীর সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে রামকৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামকৃষ্ণপুর গ্রামবাসীবৃন্দের পরিচালনায় রামকৃষ্ণপুর সার্বজনীন শ্রী শ্রী দুর্গোৎসবের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে কুলপি ব্লকের সকল দুর্গাপুজার ভার্চুয়াল উদ্বোধন করা হয়। এই ব্লকের ১৪ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ৭১ টি দুর্গা পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন কুলপির বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার। উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি পূর্ণিমা হাজারি নস্কর, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চিত্তরঞ্জন হালদার, কুলপি ব্লক আধিকারিক দেবর্ষি মুখার্জি, যুগ্ম অধিকারীক আশিক ইকবাল, পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধক্ষ্য নারায়ণ চন্দ্র ভৌমিক প্রমুখ।
জানা গিয়েছে, কুলপি ব্লকের অন্যান্য দুর্গাপূজার মধ্যে নজর কাড়া দূর্গাপূজা হল রামকৃষ্ণপুর গ্রামবাসীবৃন্দের পরিচালনায় এই রামকৃষ্ণপুর সার্বজনীন শ্রী শ্রী দুর্গোৎসব। এবার তারা ৩০ তম বর্ষে পা রাখল। প্রতি বছরের মতো এবছরও তাদের থিম প্রকৃতি ও মানুষ নিয়ে। সেই সঙ্গে রয়েছে টাইটানিক জাহাজের মধ্যে উমা-মায়ের আরাধনা চিত্র। মণ্ডপ, প্রতিমা থেকে আলোকসজ্জা চোখে পড়ার মত।
এদিন পুজো উপলক্ষে নানা ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানও করা হয়। অ্যাসিড আক্রান্ত মহিলাদের সম্বর্ধনা, দুস্থ এবং জন্ম প্রতিবন্ধীদের সম্বর্ধনা ও বস্ত্র দান, কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের সম্বর্ধনা ও পুরস্কার প্রদান। সেই সাথে বিনামূল্যে চিকিৎসা শিবির ও নরনারায়ন সেবা করা হয়েছে।