বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী : ভুয়ো ম্যজিস্ট্রেটের নোটিশ দেখিয়ে ভাড়াটেকে হেনস্থা করার জেরে গ্রেফতার করা হয়েছে এক বাড়ির মালিককে। ঘটনাটি ঘটেছে কোন্নগর ডিওয়ালডি বাস স্টপেজ সংলগ্ন এলাকায়। ঘটনার শুরু হয়েছিল একটি দোকান ঘর ভাড়া নেওয়াকে কেন্দ্র করে। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরপ্রতিনিধি শুভাশিষ চৌধুরী ওরফে পাপ্পু কয়েক বছর আগে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা গোবিন্দ চৌধুরীর থেকে একটি দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে ওষুধের দোকান করেন। এর কয়েক বছর পর পাশে আরও একটি ঘর ভাড়া নেন। এর মধ্যে বাড়িওয়ালা গোবিন্দ বাবু, শুভাশিষবাবুকে দোকান ঘরগুলো ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন। চালু ওষুধের দোকান, তাই শুভাশিষবাবু দোকানগুলো প্রথমে ছাড়তে চাননি। শুভাশিষ দোকানঘর জোর করে দখল করে রেখেছে বলে, গোবিন্দ চৌধুরী আইনের দারস্থ হন। এরপরই ওষুধের দোকানবন্ধ করে শুভাশিষ চাবি বাড়িওয়ালাকে দিয়ে দেয়। পরে অন্যত্র নিয়ে যাবে বলে দোকানে কিছু জিনিস রাখা ছিল।
কয়েকদিন আগে ম্যাজিস্ট্রেটের ভুয়ো একটা নোটিশ দোকানের বাইরে লাগিয়ে, গোবিন্দ বাবু সব মালপত্র রাস্তায় বার করে দেয়। এরপর শুভাশিষ চৌধুরী, তার দোকানের মালপত্র অবৈধ ভাবে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে উত্তরপাড়া থানায় বাড়িওয়ালা গোবিন্দ চৌধুরীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে কোন্নগর টাউন আউট পোষ্ট থানার পুলিশ বাড়িওয়ালা গোবিন্দ চৌধুরীকে গ্রেফতার করে।
এই বিষয়ে শুভাশিষ চৌধুরী বলেন, ম্যাজিস্ট্রেটের ভুয়ো নোটিশ দেখিয়ে বাড়িওয়ালা জোর করে দোকানের মালপত্র রাস্তায় ফেলে দিয়েছে। এই কারণে সামাজিক ভাবে তার সম্মানহানি হয়েছে বলেও জানান শুভাশিষবাবু।
পুলিশ সূত্রের খবর, আদালতের রায় ছিল। কিন্তু তাতে স্থগিতাদেশও ছিল। বাড়িওয়ালা ঘর খালি করার জন্য আদালতের রায়কে বিকৃত করেছেন। তাই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও বাড়িওয়ালা গোবিন্দ চৌধুরী বা তাঁর পরিজনদের থেকে এই বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি।