মহুয়া মৈত্রর পর এবার কল্যাণ ব্যানার্জি…
বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী: বারবার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকরা হেনস্থার শিকার হচ্ছে। বুধবার হুগলীর আরামবাগে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে আবারও একজন মহিলা সাংবাদিক অভব্য আচরণের শিকার হলেন। কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রর পর, শ্রীরামপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের পদপ্রার্থী তথা তিনবারের সাংসদ কল্যান ব্যানার্জী।
বুধবার আরামবাগে একটি দলীয় কর্মীসভায় যোগ দিতে গিয়েছিলেন কল্যান ব্যানার্জী। সাংবাদিকরা সেখানে তাঁর সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য উপস্থিত ছিলেন। যদিও একবার তিনি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেই সময় একজন মহিলা সাংবাদিক সহ কয়েকজন তা নিতে পারেন নি। পরে তারা সাক্ষাৎকারও নিতে গেলে তৃণমূল কংগ্রেস পদপ্রার্থী কল্যান ব্যানার্জী সেই মহিলা সাংবাদিকের সাথে চিৎকার করে অভব্য আচরণ করেন বলে অভিনব।
সর্ব সমক্ষেই এই ঘটনা ঘটে। সেই সময় কোনো একজন সেই ঘটনা ক্যামেরা বন্দি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোষ্ট করে। এবং মূহুর্ত্তের মধ্যেই সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ভারতীয় জনতা পার্টির শ্রীরামপুর লোকসভার পদপ্রার্থী কবীর শংকর এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, যে সাংবাদিকের সাথে কল্যানবাবু এমন আচরণ করেছেন প্রথমে তিনি একজন মহিলা। তারপর তিনি সাংবাদিক। কল্যানবাবু একজন জনপ্রতিনিধি। তাঁর দলের নেত্রী তিনিও একজন মহিলা। সেই নেত্রী মমতা ব্যানার্জী বলেন পশ্চিমবঙ্গে মেয়েরা সুরক্ষিত। এখানে মেয়েদের সম্মান আছে। কল্যানবাবু একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে সবার সামনে ওই মহিলা সাংবাদিকের সাথে যে ভাবে কথা বলেছেন সেটা অত্যন্ত লজ্জাজনক। সাংবাদিক প্রশ্ন করবে এটা তার কাজ। নেতাদের সময় না থাকলে কথা বলবে না। এড়িয়ে যাবে। কিন্তু এইরকম আচরণ করে তিনি তার দলের পরিচয় দিয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেস বার বার সাংবাদিকদের হেনস্থা করছে। মহুয়া মৈত্র সাংবাদিকদের দু পয়সার সাংবাদিক বলেছিলেন। সন্দেশখালিতে সন্তু পানকে গ্রেফতার করে টেনে হিচড়ে থানায় নিয়ে গিয়েছিল। আর এবারের ঘটনাও ভাইরাল হয়েছে। তৃণমূলের একজন জনপ্রতিনিধির আচরণ যদি এমন হয় তাহলে কর্মী সমর্থকদের কাছে কি বার্তা পৌছাবে। এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চায় সাধারণ মানুষ।