পাঁচ বছর পর ফাঁসির সাজা, খুশি নির্যাতিতার পরিবার।
নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি: রাজগঞ্জ ব্লকের এক নাবালিকা স্কুলছাত্রী রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যায়। তদন্তে নেমে ছাত্রীর বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে একটি সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে কিশোরীর পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনা গত ২০২০ সালের ১০ আগস্টের। পরিবারের লোকজনের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ৩ জনকে ফাঁসির নির্দেশ দিল জলপাইগুড়ির বিশেষ পকসো আদালত। বৃহস্পতিবার বিচারক এই রায় ঘোষণা করায় খুশি নাবালিকা ছাত্রীর পরিবার।
যাদের পুলিশ গ্রেফতার করেছিল তারা সকলেই নাবালিকার পূর্ব পরিচিত। জানা গিয়েছে, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে ধর্ষণ করা হয় নাবালিকাকে। মামলায় মোট ২৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। শেষমেশ বৃহস্পতিবার তিনজনকে দোষী সাব্যস্ত করে বিচারক। তাদের ফাঁসির সাজা শোনানো হয়। ঘটনার ৫ বছর পর সুবিচার পেয়ে খুশি নাবালিকার পরিবার। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কুলতলি, জয়নগর-সহ বেশ কয়েকটি ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে আদালত।