হাসপাতালে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অসন্তোষ রোগী-পরিজন।
বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী : রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায় একাধিক বক্তব্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতির নিয়ে বলেছেন। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের প্রচলন করেছেন। কিন্তু রাজ্যের বেশিরভাগ সরকারি হাসপাতালগুলোরই ভিতরে এবং বাইরে অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। এমনই একটি সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল হুগলীর ইমামবাড়া।

আমরা আগেও এই হাসপাতালের অস্বাস্থ্যকর, নোংরা, আবর্জনা ভর্তি চুরান্ত অপরিচ্ছন্নতা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করেছিলাম। হাসপাতালের যত্রতত্র আবর্জনার স্তুপ। ব্যবহার করা ওষুধের স্টিপ, গজ, স্যালাইনের বোতল, জলের বোতল, সিরিঞ্জ, চায়ের ভাড়, স্তুপাকৃত ভাবে ছড়িয়ে ছিঁটিয়ে পড়ে আছে হাসপাতাল চত্বরে। হাসপাতালের পিছন দিকের অবস্থা আরও ভয়াবহ। আগাছা, জংলায় ভরে আছে। নিকাশি নালাগুলো একই ভাবে নোংরা আবর্জনা জমে আছে। খোলা অবস্থায় পড়ে আছে শৌচালয়। ওয়ার্ডের ভিতরেও অপরিচ্ছন্নতা বিদ্যমান।

কিন্তু এরপরেও পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। সেই ইমামবাড়া হাসপাতালেরই দুরবস্থা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। শনিবার হাসপাতালের রোগী কল্যান সমিতির বৈঠক ছিল। নির্ধারিত সময়ের কিছু সময় আগেই হাসপাতালে উপস্থিত হন বিধায়ক অসিত মজুমদার। হাসপাতাল ঘুরে দেখেন তিনি। রোগীদের ব্যবহারের জন্য শৌচালয় অত্যন্ত অপরিচ্ছন্ন।শৌচালয়ের দরজার পাল্লা নেই। স্নানের জায়গার মেঝেতে ময়লার আস্তরনে মেঝের রঙের পরিবর্তন হয়েছে। এই সব দেখেই অসিতবাবু ক্ষুব্ধ হন। এরপর কথা বলেন রোগী ও পরিজনদের সাথেও। রোগীর পরিজনরাও অভিযোগ করেন নানা বিষয়ে। এরপরই হাসপাতালের সুপার অমিতাভ মন্ডলকে এই অব্যবস্থার দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন তিনি। এই বিষয়ে হাসপাতালের সুপার ডা: অমিতাভ মন্ডলকে ফোনে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি কোনো প্রতিক্রিয়া দেবেন না বলে জানিয়ে দেন।