সচেতনতায় জোর, বাড়ানো হচ্চে হাসপাতালের বেড।
বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী : হুগলীর বিভিন্ন জায়গায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। সামনেই বাঙ্গালীর সব থেকে বড় উৎসব শারোদৎসব। সেই উৎসবের আগেই হুগলীতে ভীতির সঞ্চার করেছে ডেঙ্গু। ডেঙ্গু নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন প্রশাসন। রাজ্যের মুখ্যসচীব নির্দেশ দিয়েছেন, জন প্রতিনিধি ও পুলিশ একত্রে ডেঙ্গি মোকাবেলায় কাজ করতে। সেই নির্দেশ মত বুধবার হুগলীর চন্দননগর কর্পোরেশনে হুগলীর জেলাশাসক মুক্তা আর্য ডেঙ্গি মোকাবেলা নিয়ে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। জেলাশাসক মুক্তা আর্য ছাড়াও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অমিত প্রসাদ জাভালগী, ডি সি ঈশানী পাল, চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী, কমিশনার স্বপন কুন্ডু, কর্পোরেশনের ডেপুট মেয়র মুন্না আগরওয়াল, এস ডি ও, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমা ভুইয়া, প্রমুখ।
বৈঠক শুরুর আগে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে এডিস মশার মডেল সহ একটি ট্যাবলোর সূচনা করা হয়। সূচনা করেন জেলাশাসক ও আধিকারিকগন।এই প্রশঙ্গে মেয়র রাম চক্রবর্তী বলেন, চন্দননগর পুরনিগম ডেঙ্গু প্রতিরোধ অনেক আগে থেকেই কাজ করছে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে স্বাস্হ্য কর্মীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরছে। কোনো ভাবেই যাতে কোথাও জল না জমে সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। যে সব এলাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি সেই এলাকায় বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখা হচ্ছে। পুরোনো অফিসের ছাদ বা পরিত্যক্ত জায়গায় জল জমে থাকতেই পারে। তাই এরপর ড্রোনের মাধ্যমে নজর রাখা হবে।
পুলিশ কমিশনার অমিত প্রসাদ জাভালগী বলেছেন ড্রোনের ব্যবস্থা করে দেবেন। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমা ভুঁইয়া বলেন, হুগলীতে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় চার হাজার। আড়াইশ রোগী ভর্তি আছে হাসপাতালে।হুগলীর আঠারোটি ব্লক হাসপাতাল ও পাঁচটা বড় হাসপাতালেজ্বরের রোগীদের জন্য বেড বাড়ানো হয়েছে। রোগী ভর্তির প্রয়োজন হলে যাতে কোনো অসুবিধার সম্মুখীন হতে না হয়। এই সবের পাশাপাশি গ্রাম এবং শহরঞ্চলের মানুষকে আরও সচেতন করার কাজ চলছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে গেলে আরও সচেতনতার প্রয়োজন। অন্যথায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছেন রমা ভুঁইয়া।