Tuesday, October 21, 2025
Ad

ত্রিপুরায় ঢোকার মুখে ৪৭ কোটির হেরোইন আটক।

Must read

E-Paper

E-Paper

E Paper 12-11-2025

বিশ্বজিৎ দে, ত্রিপুরা : এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড়সর নেশার বাণিজ্য আটকে দিল আসাম পুলিশ এবং বিএসএফের যৌথ অভিযান চালিয়ে। দুদিন পূর্বেই আসামের গোওয়াহাটিতে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সম্মেলনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলে এসেছেন যে ত্রিপুরাকে করিডর বানিয়ে নেশা বাণিজ্য রমরমা চালাচ্ছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নেশা কারবারিরা। এরা বেশির ভাগ বিদেশ থেকে অর্থাৎ মায়ানমার থেকে মিজোরাম ও মনিপুর কে ব্যবহার করে ত্রিপুরা হয়ে বাংলাদেশে নেশা সামগ্রী পাচার করে জাচ্ছে। দুদিনের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলো।

গতকাল রাতে আসামের করিমগঞ্জে বাবা হোটেল সংলগ্ন এলাকায় পুলিশ এবং বিএসএফ এর যৌথ অভিজানে একটি লরিতে হানা দিয়ে প্রায় ৭৬৪ সাবানের বাস্কে প্রায় ৪৭ কোটি টাকার ব্রাউন সুগার উদ্ধার করে।

বিএসএফের কাছে খবর ছিল মায়ানমার থেকে মিজোরাম হয়ে ত্রিপুরায় ডুকছে বিপুল পরিমান নেশা সামগ্রী। সেই খবর মোতাবেক বিএসএফ এবং পুলিশ বাহিনী উৎপেতে বসে থাকে করিমগঞ্জের বাবা হোটেল সংলগ্ন এলাকায়। গাড়িটি ওই এলাকায় আসতেই বিএসএফ এবং আসাম পুলিশ বাহিনী গাড়িটিকে আটক করে তল্লাশি চালিয়ে গাড়ির গোপন কেবিন থেকে ৭৬৪টি সাবানের বাস্কে মোট ৯ কেজি ৪৭ গ্রাম ব্রাউন সুগার উদ্ধার করতে সক্ষম হয় আসাম পুলিশ এবং বিএসএফের যৌথবাহিনী।

এই অভিযানে গাড়ির চালক মহিবউদ্দিনকে আটক করাহয়।জানা জায়, মহিব উদ্দিন এর বাড়ি আসামের আছিমগঞ্জ এলাকায়। কিন্তু মহিবউদ্দিনের বক্তব্য সে এই ব্যাপারে কিছুই জানে না। কিন্তু সে জানায় যে আসামের করিমগঞ্জ এ গাড়িতে মজুত থাকা খাদ্য সামগ্রি দিয়ে বাকি খাদ্য সামগ্রি ত্রিপুরার কৈলাশহর এর কোন এক মালিকের কাছে পৌঁছে দিতে। এখন দেখার বিষয় হচ্ছে এই নেশা সামগ্রীর মূল পান্ডা কে ধরতে সক্ষম হয় কিনা পুলিশ।

- Advertisement -

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

Latest article