সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগরও বারবার। Gangasagar
নিউজ ডেস্ক, নিউজ দিগন্ত বার্তা: গঙ্গাসাগরের সার্বিক উন্নয়ন ও গঙ্গাসাগর মেলা ২০২৫ উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক বিশেষ উদ্যোগ। মুড়িগঙ্গা নদীর উপর ‘গঙ্গাসাগর সেতু’ নির্মিত হচ্ছে, যা ৪ বছর সময়ে ১,৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হবে। ১৭ ডিসেম্বর নবান্নে গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, গঙ্গাসাগর মেলা বাংলার গর্ব দেশের গর্ব। এই বছরের গঙ্গাসাগর মেলার তারিখ ৮ জানুয়ারি, ২০২৫ বুধবার থেকে ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫ শুক্রবার পর্যন্ত। পুণ্যস্নানের তারিখ ১৪ জানুয়ারি, মঙ্গলবার।
মেলায় আগত পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে, রেল কর্তৃপক্ষকে বিশেষ ট্রেন চালানোর আবেদন জানানো হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং অন্যান্য এলাকা থেকে বিশেষ ট্রেন চালানো হবে। পাশাপাশি উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা প্রস্তুত করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ২২৫০টি সরকারি বাস এবং ২৫০টি বেসরকারি বাসের ব্যবস্থা থাকবে। নদীপথে যাত্রী পরিবহনের জন্য ৩২টি ভেসেল, ৯টি বার্জ ১০০টি লঞ্চ এবং ২১টি জেটি ব্যবহৃত করা হবে। ৫০ টি ফায়ার টেন্ডার ইঞ্জিন ছাড়াও ৭৫টি ফায়ার টেন্ডার মোটরসাইকেলও কাজে লাগানো হবে। ট্র্যাফিক সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় ১৬টি বাফার জোন করা হচ্ছে। গতবারের মতোই গঙ্গাসাগরে যাওয়া আসার জন্য সিঙ্গল টিকিট ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। সাগরে প্রতিটি বাসে অন্যান্যবারের মতোই ‘সাগর বন্ধু’ থাকবে।
বন দপ্তর নদীর তীরে ম্যানগ্রোভ এবং ভেটিভার ঘাস রোপণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করে পরিবেশবান্ধব বিকল্প ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তদুপরি, তীর্থযাত্রীদের সার্বিক সাহায্যার্থে, চিকিৎসা পরিষেবা থেকে শুরু করে প্রশাসনিক সকল ক্ষেত্রেই থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার দিবারাত্রি পুণ্যার্থীদের সেবায় নিয়োজিত থাকবে। আমি নিশ্চিত, সবার সহযোগিতায় আমরা এবারও দারুণভাবে এই মেলা সাফল্য লাভ করব। আগে লোকে বলত ‘সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার। ‘গত ১৩ বছরে আমরা গঙ্গাসাগরের পরিকাঠামোর মানোন্নয়ন করেছি যাতে এখন মানুষ প্রতি বছর এখানে আসতে পারেন। তাই আমরা বলি ‘সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগরও বারবার।’