বন্দনা ভট্টাচার্য, হুগলী: হুগলী জেলার ভদ্রেশ্বরে উদ্বোধন হল লোকসংস্কৃতি ও সম্প্রীতি মেলার। ভদ্রেশ্বরের সুভাষ সরোবর ময়দানে বৃহস্পতিবার এই মেলার আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন হয়। পশ্চিমবঙ্গ তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের উদ্যোগে, হুগলী জেলা প্রশাসন ও ভদ্রেশ্বর পৌরসভার সহযোগিতায়, হুগলী জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের ব্যবস্থাপনায় এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলার প্রধান অঙ্গ হিসাবে রয়েছে লোক সংস্কৃতি, আদিবাসী নৃত্য, যাত্রাপালা প্রভৃতি। এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, ভদ্রেশ্বর পৌরসভার পৌরপ্রধান প্রলয় চক্রবর্তী, হুগলী জেলা পরিষদের সভাপতি রঞ্জন ধারা, কর্মাধক্ষ্য তথা বিশিষ্ট আইনজীবী নির্মাল্য চক্রবর্তী,চন্দননগরের মহা নাগরিক রাম চক্রবর্তী, উপমহানাগরিক মুন্না আগরওয়াল, হুগলী চুঁচুড়া পৌরসভার পৌরপ্রধান অমিত রায়,সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ। বিশিষ্ট অতিথিগণ দামামা বাজিয়ে এবং প্রদীপ প্রজ্বলন করে মেলার শুভ সূচনা করেন।
এই প্রশঙ্গে ভদ্রেশ্বরের পৌরপ্রধান প্রলয় চক্রবর্তী বলেন এদিনের যাত্রা উৎসবের পাশাপাশি বিলুপ্ত প্রায় সংস্কৃতি নিয়ে এই সম্প্রীতির মেলা শুরু হল। মুখ্যমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় হারিয়ে যাওয়া শিল্প পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে। মেলার এটি একত্রিশ তম বর্ষ। বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেন সব সময় ভদ্রেশ্বর পৌরসভাকে না চাইতেই অনেক দিয়েছেন বলেও জানালেন প্রলয় চক্রবর্তী।
লোক সংস্কৃতি,ছৌ নৃত্য,আদিবাসী নৃত্য, যাত্রপালা এই সব বাংলার বুক থেকে প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। একটা সময় ছিল যখন শীতকাল মানেই গ্রাম বাংলার নানা জায়গায় সারা রাত যাত্রাপালা, বাউলগানের আসর বসতো। তবে বতর্মানে মোবাইল ইন্টারনেটের যুগে এই সংস্কৃতি প্রায় বিলুপ্ত হতে বসেছিল। কিন্তু রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী এই সকল সংস্কৃতিকে পুনরুদ্ধার করার উদ্যোগ নিয়েছেন।
এই বিষয়ে হুগলী চুঁচুড়া পৌরসভার পৌরপ্রধান অমিত রায় বলেন, নিজের সংস্কৃতি মানেই লোক সংস্কৃতি। সেটাকে নতুন করে আবার ফিরে পাওয়া। নতুনরুপে দর্পনে দেখা। এই শিল্প অবলুপ্ত হয়ে যাচ্চিল। রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী এই শিল্পীদের সম্মান জানিয়েছেন। তাদের জন্য নানা রকম প্রকল্প চালু করেছেন। ভাতার ব্যবস্থা করেছেন। বিভিন্ন জায়গায় এদের নিয়ে অনুষ্ঠান করে এদের রোজগারেরও ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এই সম্প্রীতির মেলার জন্য চন্দননগরের বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেনকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন অমিত রায়।