পাথরপ্রতিমায় তৈরি হবে একাধিক ভাসমান যেটি।
নিজস্ব প্রতিনিধি, পাথর প্রতিমা : নদীবেষ্টিত পাথরপ্রতিমার বিচ্ছিন্ন দ্বীপগুলিকে জুড়ে দেওয়ার লক্ষ্যে তৈরি হবে ভাসমান জেটি। আধুনিক পরিষেবা যুক্ত সেই জেটিগুলি চালু হয়ে গেলে কলকাতা থেকে সরাসরি গাড়িতে করে পৌঁছে যাওয়া যাবে সুন্দরবনের প্রান্তিক দ্বীপ গোবর্ধনপুরে।

সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা ব্লকের বিরাটবাজার, বনশ্যামনগর, চাঁদমারি ঘাট এবং জি প্লটে ভাসমান জেটির কাজ শুরু হয়। উদ্বোধন করলেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিষ চক্রবর্তী। উপস্থিত ছিলেন পরিবহন দপ্তরের প্রধান সচিব সৌমিত্র মোহন, পাথরপ্রতিমার বিধায়ক সমীর কুমার জানা, কাকদ্বীপের মহকুমাশাসক অরণ্য ব্যানার্জি সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। ২০২৪ সালের মার্চ মাসের মধ্যে এই কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নির্মাণকারী সংস্থাকে।
এদিন মন্ত্রী স্নেহাশিষ চক্রবর্তী বলেন, এই বিচ্ছিন্ন দ্বীপগুলিতে চারটি ভাসমান জেটি হবে। সেই জেটিগুলি দিয়ে মানুষ এবং সবরকম গাড়ি পারাপার করবে। ফলে এই এলাকার মানুষের সঙ্গে সারা রাজ্যের মানুষের যোগাযোগ সহজ হবে। পাশাপাশি শহরে দ্রুত যাতায়াত করা যাবে। আর নদীর খেয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। এই জেটিগুলিতে আধুনিক সবরকম সুবিধা মিলবে। এই ভাসমান জেটিতে থাকবে শৌচালয়, বিশ্রামকক্ষ। এছাড়া থাকবে বেশ কিছু দোকানপাটও। পরিবহন দপ্তরের মাধ্যমে আগামী দিনে সুন্দরবনের দ্বীপাঞ্চলের যোগাযোগ আরও বাড়ানো হবে।