বন্দনা ভট্টাচার্য, হুগলি : হুগলী নদীর পশ্চিম দিকে অবস্থিত কোন্নগর শহর। এই শহরে অনেক দর্শনীয়,ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে। রয়েছে শতাব্দী প্রাচীন অনেক মন্দির। এমনই পাঁচশত বছরেরও বেশী পুরানো জোড়া শিবের মন্দির আজ সংস্কারের অভাবে প্রায় ভগ্ন দশা নিয়ে তার ঐতিহাসিক স্মৃতি বহন করে চলেছে। কোন্নগর ফেরিঘাট থেকে বাটা স্টপেজ পার করে সোজা কোন্নগর স্টেশনের দিকে যেতে ক্রাইপার রোডের উপরে ডান দিকে দুটি ভগ্নপ্রায় প্রাচীন মন্দির দেখা যায়। মন্দির দুটি ছিল কোন্নগরের বিখ্যাত মিত্র পরিবারের।
মন্দির দুটি দেখলেই বোঝা যায় বহুদিন ধরেই অনাদরে, সংস্কারের অভাবে আজ ভগ্ন দশায় এসে ঠেকেছে। আগাছায় ভরে আছে মন্দিরের অভ্যন্তর। কিন্তু কালের প্রহারে জরাজীর্ণ মন্দিরের বাইরের ভগ্ন দেওয়ালে সমৃদ্ধ টেরাকোটার কাজের অস্তিত্ব পাঁচশত বছর পরেও এখনও সুস্পষ্ট। একটি মন্দিরের উপরে লেখা স্থাপিত ১৪৬১। কিন্তু সেই টেরাকোটার কাজে সমৃদ্ধ দেওয়াল খসে পরছে অনাদরে, অবহেলায়।
মিত্র পরিবারের এক সদস্যা কণা মিত্র বলেন পূর্বে দুটি মন্দিরেই বিগ্রহ ছিল পাথরের শিব লিঙ্গ। বর্গী ডাকাতরা বিগ্রহ দুটি চুরি করে নিয়ে যায়। সেই থেকে মন্দিরে কোন বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করা হয়নি। বর্তমানে একটি মন্দির একটু সংস্কার করে একটি মাটির শিব ও শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠা করা হয়।
এলাকার পৌর প্রতিনিধি অরুনাংশু মজুমদার বলেন মন্দির দুটি সংস্কার করতে গেলে দক্ষ কারিগর না হলে দেওয়ালের টেরাকোটার কাজগুলোর অস্তিত্ব রক্ষা করা সম্ভব হবে না। তাই কোনো স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বা রাজ্য সরকার যদি এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন তাহলে ঐতিহ্যবাহী মন্দির দুটি কোন্নগরের ইতিহাসে ধর্মীয় স্থান হিসাবে সমৃদ্ধি বিস্তার করবে।