চাপড়ায় সরস্বতীর মূর্তি ভাঙার নেপথ্যে গভীর ষড়যন্ত্র?
নিজস্ব সংবাদদাতা, নদীয়া: সরস্বতী মূর্তি ভাঙাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল নদিয়ার চাপড়ার কলিঙ্গর চড়ুই টিপি গ্রামে। ওই ঘটনায় রাতে ভাঙা সরস্বতী মূর্তি উদ্ধার করতে গেলে বাধার মুখে পড়ে চাপড়া থানার পুলিশ। অভিযোগ ওঠে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য ও বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। সোমবার ওই ঘটনায় পুলিশ বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য সহ চারজন বিজেপি কর্মীকে আটক করে। মঙ্গলবার কৃষ্ণনগর জেলা আদালতে তোলা হয়। ঘটনার পর উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এলাকায়।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সরস্বতীর মূর্তি ভেঙে হাতেনাতে ধরা পড়ে চাপড়ার কলিঙ্গ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির সদস্য প্রসেনজিৎ ঘোষ সহ, দেবাশীষ ঘোষ, মানিক ঘোষ, পিন্টু ঘোষ। দেবাশীষ ঘোষ গাছা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক। জাতীয় শিক্ষকদের মাথায় যদি এসব আসে তাহলে সমাজটা যায় কোথায়? এমনই মন্তব্য তৃণমূলের।
তৃণমুলের দাবি, বাংলায় ক্ষমতায় আসার আর কোন রাস্তা নাই বিজেপির। তাই তাদের গুরু RSS এর প্ল্যানে এসব করছে। বেলডাঙ্গাতে ওরা ব্যর্থ হয়েছে। ধরা পড়েছে সায়ন হালদার। এভাবেই বাংলায় উসকানি দিয়ে সাম্প্রদায়িক অশান্তি বাধানোর চেষ্টা চলছে, এটা পরিস্কার। এটা বুঝতে না পারলে বাঙালিদের ভুগতে হবে। শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষদের এগিয়ে আসতে হবে। সকলে সতর্ক, সাবধানে থাকা এবং শান্তিতে থাকতে হলে এদের প্ররোচনায় পা না দেওয়ার কথা বলে।
নদীয়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার) মাকওয়ানা মীত কুমার জানান, ওই ঘটনায় চারজনের নামে এফআইআর হয়েছিল। এরমধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।