Thursday, June 19, 2025
Ad

হাসপাতালের ভগ্নপ্রায় আবাসন নিয়ে আশঙ্কায় এলাকাবাসী।

Must read

বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী : হুগলীর চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালের গ্রুপ ডি কর্মীদের আবাসনটির ভগ্নদশা নিয়ে চিন্তিত ওই এলাকার বাসিন্দারা। হাসপাতালের এই আবাসনটি ভগ্ন প্রায় দশায় হয়ে রয়েছে।। দীর্ঘদিন এর কোনো সংষ্কার করা হয়নি হাসপাতালের তরফ থেকে। এর ফলে যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা। এমনকি প্রাণহানির আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছেনা। ফলে আবাসনের পিছন দিকে যে সকল বাড়িগুলো রয়েছে, সেগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান স্থানীয় এক বাসিন্দা।

আবাসনের পিছনের দেওয়াল ফেটে সেই ফাটল থেকে বড় বড় গাছের শিকড় এবং শাখা প্রশাখা আবাসনটাকে গ্রাস করে ফেলেছে। নিকাশি নালা বলে কিছু নেই। শৌচালয় থেকে মল, মূত্র আবাসনের পিছনে খোলা জায়গায় পরে পরিবেশকে দূষিত করছে। এর চারপাশে আগাছা আবজর্না মশা মাছির উপদ্রপকে বাড়িয়ে তুলেছে।

চুচুড়ার ইমামবাড়া হাসপাতালের আবাসনের বেহাল দশা

এই বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা পিযুষ কান্তি দাস বলেন, বিগত চল্লিশ বছর ধরে এই আবাসনে বেশ কয়েকটি পরিবার বসবাস করে। একটা সময়ে ইমামবাড়া হাসপাতালে কর্মরত গ্রুপ ডি কর্মীদের জন‍্য আবাসনটি নির্মান করা হয়েছিল। বর্তমানে বংশ পরম্পরায় তাদেরই পরিবারের, পরিজনেরা এই আবাসনে রয়েছে। এই আবাসিকদের কেউ হাসপাতালে এখন কার্মরত নেই।
বিষয়টি নিয়ে হাসপাতালের সুপারিনটেন্ডেন্ট ডাক্তার অমিতাভ মন্ডলকে একাধিক বার জানানো হলেও তিনি বিষয়টি গুরুত্ব দেননি বলেই জানালেন পিযুষবাবু।

চুচুড়ার ইমামবাড়া হাসপাতালের আবাসনের বেহাল দশা

হুগলী চুঁচুড়া পৌরসভার পৌরপ্রধান অমিত রায়কে এই বিষয়ে জানালে তিনি বলেন এটা হাসপাতালের সুপারের দেখা উচিত। এই বিষয়ে তাঁর কিছু করণীয় নেই বলেও জানিয়ে দেন অমিত রায়। হাসপাতালের সুপার ডাক্তার অমিতাভ মন্ডলের কাছে এই প্রশঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। যা করার তারাই করবেন।

- Advertisement -

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

Latest article