চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পূজো কমিটির সাংবাদিক সম্মেলন।
বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হগলী : শরতের বিদায়ী কাশফুলের উড়ো গন্ধ আর বাতাসে হিমেল হাওয়ার আগমনের সন্ধিক্ষণে আরও এক মহোৎসব হুগলীর চন্দননগরের ঐতিহ্যপূর্ণ জগদ্ধাত্রী পূজো। জাতি, ধর্ম, ভাষা, নির্বিশেষে এক মহামিলন মেলা। বহু দুর দুরান্ত থেকে দর্শনার্থীদের আগমন। সেই জগদ্ধাত্রী পূজো উপলক্ষ্যে চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পূজো কমিটির তরফে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল।
চন্দননগর বড়বাজার ভূদেব মুখার্জী রোডের সেন্টার পয়েন্ট এ্যাপার্টমেন্টে কমিটির নিজস্ব কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বরে ঊনিশে নভেম্বর, ষষ্ঠী থেকে পূজো শুরু হয়। চব্বিশে নভেম্বর প্রতিমা নিরঞ্জনের মাধ্যমে শেষ হবে। পূজো প্রশঙ্গে চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পূজো কমিটির সাধারণ সম্পাদক শুভজিৎ সাউ সংবাদ মাধ্যমকে জানালেন, এবার মোট ১৭৭ টি পূজো হচ্ছে। এর মধ্যে চন্দননগর থানার অন্তর্গত ১৩৩টি পূজো এবং ভদ্রেশ্বর থানার অন্তর্গত ৪৪ টি পূজো। ছয়টি পূজোর জয়ন্তি উদযাপন আছে। এগুলো হলো, তেলেনিপাড়া বাবুর বাজার, বোড় পঞ্চাননতলা, খলিসানী গড়ের ধার, জগন্নাথবাটী,খলিসানী কানাইলাল পল্লী। নিরঞ্জনের জন্য শোভাযাত্রায় ২৩০ টি লড়ি সহযোগে ৬২টি পুজো অংশ গ্রহণ করবে। যারা শোভাযাত্রায় অংশ নেবেনা তারা ২৩ তারিখ দিনের বেলায় প্রতিমা বিষর্জন দেবে।
চন্দননগর থানার অধিনে আটটি ও ভদ্রেশ্বর থানার অধিনে নয়টি, মোট সতেরোটি ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জন হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি প্যান্ডেলে থাকছে সিসি টিভি ক্যামেরা, অনুসন্ধান অফিস, প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র। এছাড়াও নিরাপত্তাব্যবস্থার জন্য অগ্নি নির্বাপক গাড়ি রাখা হবে – বোড় পেট্রল পাম্প, সাহা বিল্ডার্স, বাগবাজার পেট্রল পাম্প, কে এম ডি এ পার্ক,এই চার জায়গায়। বুলেট বাইক সার্ভিসও থাকবে। ডিজে এবং শব্দ বাজি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার – দৈবক পাড়া, ব্রাহ্মণ পাড়া,উর্দি বাজার, বারাসাত ব্যানার্জী পাড়া, বোড়, দিনেমার ডাঙ্গা তালপুকুর এই ছয়টি পূজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করবেন বলেও জানিয়েছেন শুভজিৎ সাউ।