বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী: শুক্রবার ছিল বিশ্ববরেণ্য স্বামী বিবেকানন্দের (Sanyasi Vivekananda)১৬২ তম জন্মদিবস। ১৮৬৩ খ্রীষ্টাব্দের ১২ই জানুয়ারি,মকরসংক্রান্তির দিন কোলকাতার সিমলা অঞ্চলের তিন নম্বর গৌরমোহন মুখোপাধ্যায় স্ট্রীটে জন্ম গ্রহন করেছিলেন তিনি। বিশ্বনাথ দত্ত ও ভুবনেশ্বরী দেবীর সন্তান ছিলেন তিনি। তাঁর নাম ছিল নরেন্দ্র নাথ দত্ত। ডাক নাম বিলে। যুগাবতার শ্রীরামকৃষ্ণের অত্যন্ত প্রিয় শিষ্য ছিলেন তিনি। শ্রীরামকৃষ্ণ তাকে নরেন বলে ডাকতেন। চিকাগোতে বিশ্ব ধর্ম মহাসভায় বক্তৃতা দিয়ে তিনি ভারতবর্ষ তথা বাঙালির নাম স্বর্ণক্ষরে লিপিবদ্ধ করেছিলেন। তাঁর বাণী সর্বদাই যুব সমাজকে উৎসাহিত করে। তিনি চেয়েছিলেন যুবকরা সমাজের ভালোর জন্য কাজ করুক। সমাজের কল্যানে তাদের অবদান থাকুক। এই কারণেই স্বামীজীর দিনটিকে বিশ্ব যুবদিবস আখ্যা দেওয়া হয়। এই মহাপুরষের জন্মদিনে তাকে শ্রদ্ধা জানাতে রাজ্যের সর্বত্র পালিত হল এই দিনটি।
এই উপলক্ষ্যে এদিন অখিল ভারত বিবেকানন্দ যুব মহামন্ডলের কোন্নগর শাখার উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সহকারে প্রভাতফেরির আয়োজন করা হয়েছিল। সংগঠনের প্রতাকা উত্তোলন ও প্রার্থনা সংগীতের পর সকাল আটটায় যুব মহামন্ডল ভবনের সামনে থেকে এই বিশাল শোভাযাত্রা বের হয়। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা কোন্নগরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে। পরিক্রমা শেষে বিবাকানন্দ যুব মহামন্ডল ও সারদা সঙ্ঘের সকল সদস্য ও সদস্যাগন কোন্নগর কালিতলায় স্বামীজির মূর্তিতে মাল্যদান করেন। মাল্যদান করেন কোন্নগরের পৌরপ্রধান স্বপন দাসও। এই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় বিবাকানন্দ যুব মহামন্ডলের সকল সদস্যগন ছাড়াও কোন্নগর সারদা সঙ্ঘের সদস্যাগন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষিকা,ছাত্র ছাত্রী, তাদের অভিভাবক সহ জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকল ধর্মপ্রাণ মানুষ অংশ গ্রহণ করেন।
এই প্রশঙ্গে অখিল ভারত বিবেকানন্দ যুব মহামন্ডলের কোন্নগর শাখার সহ সভাপতি চিত্তরঞ্জন সাহা বলেন, স্বামীজি যুব সমাজকে সব সময় কাজের মধ্য দিয়ে এগিয়ে থাকার জন্য উৎসাহিত করেছেন। কাজের মধ্য দিয়ে সমাজের মঙ্গল করার জন্য পথ দেখিয়েছেন। বিবেকানন্দ যুব মহামন্ডল, এই বীর সন্যাসীর দেখানো পথেই এগিয়ে চলার চেষ্টা করছে বলেও জানান চিত্তরঞ্জন সাহা। এদিনই সান্ধ্যকালীন একটি সভার আয়োজন করা হয়েছে মহামন্ডলের কার্যালয়ে। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন বেলুড় শিল্প মন্দিরের সন্যাসী মহারাজ পূজনীয় স্বামী বেদাতীতানন্দজী।