টাকা পেয়েছেন, বাড়ি আপনাকে তৈরি করতেই হবে।
সাকিফ হোসেন, কুলপি : প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আগেই রাজ্যকে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল কেন্দ্র। তবে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিল রাজ্য সরকার। তারপরও আবাসের টাকা কেন্দ্রীয় বরাদ্দ না করায় আবাস প্লাস প্রকল্পে দরিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারীদের বাড়ি তৈরির জন্য (বাংলার বাড়ি) এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমতো গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে উপভোক্তাদের একাউন্টে প্রথম দফার ৬০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। কিন্তু সেই টাকা পাওয়ার পরও বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেনি বহু উপভোক্তা। সেজন্য বিপাকে পড়তে হয় প্রশাসনকে।বুধবার দুপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কুলপি ব্লক অফিসের সৃজন সভা ঘরে বাড়ি তৈরীর অগ্রগতি নিয়ে বিশেষ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। জানা গিয়েছে, কুল্পী ব্লকে প্রথম দফার টাকা পেলেও হাজারেরও বেশি উপভোক্তারা এখনও বাড়ি তৈরীর কাজ শুরু করেননি। ফলে এদিনের সভায় ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সহ পঞ্চায়েত সমিতি ব্লক প্রশাসনকে নিয়ে বৈঠক সারেন জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা। উপস্থিত ছিলেন কুলপির বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার, ডায়মন্ড হারবার মহাকুমা শাসক অঞ্জন ঘোষ, কুলপি সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সৌরভ গুপ্তা, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বন্দনা কর্মকার, শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সুপ্রিয় হালদার। টাকা পেয়ে যাওয়া সমস্ত উপভোক্তাকে বাড়ি তৈরীর জন্য নির্দেশ দেন জেলাশাসক। যদি কেউ বাড়ি তৈরি করতে না চান তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
এদিনের এই সভায় বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে কয়েকশ বাংলার বাড়ি প্রকল্পের উপভোক্তা উপস্থিত ছিল। টাকা পাওয়ার পরেও বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করতে না পারার কারণ জানায় তারা। পঞ্চায়েত প্রধানদের সাথে আলোচনা করে শীঘ্রই বাড়ি তৈরীর কাজ শুরু করার পরামর্শ দেওয়া হয়। জেলাশাসক উপভোক্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা বাড়ি তৈরির জন্যই মুখ্যমন্ত্রী কে জানিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী আপনাদের বাড়ি তৈরীর জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছেন, এবং সেই অর্থ আপনারা পেয়েছেন। সুতরাং বাড়ি আপনাদের তৈরি করতেই হবে।