নির্বাচনে শাশুড়ি বৌমার লড়াই।
বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী : এতদিন শুধুই ছিলেন সংসারে সীমাবদ্ধতায়। এবার ভোটের ময়দানে দুই প্রতিকে শাশুড়ি এবং বৌমা। হুগলীর সিমলাগড় ভিটাসিন গ্রাম পঞ্চায়েতের পোঁটবা গ্রামের ১১০ নম্বর বুথে একই পরিবারের দুই প্রার্থী শাশুড়ি এবং বৌমা, লড়াই করবেন আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের ময়দানে। শাশুড়ি লক্ষ্মী রানী মান্ডী লড়ছেন বাম প্রতিক নিয়ে, বৌমা সোনালী মান্ডী লড়ছেন ভারতীয় জনতা পার্টির পদ্মফুল চিহ্ন নিয়ে।

সোনালী মান্ডী সম্পর্কে লক্ষ্মী রাণী মান্ডীর ভাসুরপো বৌ। একই পরিবারের এমন সিদ্ধান্ত, এর কোনো প্রভাব কি সংসার জীবনে পড়তে পারে? প্রশ্ন শুনে বিজেপি প্রার্থী সোনালী মান্ডী হেসে উত্তর দিলেন, একেবারেই না।

কাকিমা বরাবরই সিপিএম সমর্থক, তাই তিনি বামেদের হয়ে লড়বেন। ভোটের ফলাফল যদি কোনো একজনের পক্ষে যায় তাহলে সম্পর্কে কোন তিক্ততা আসতে পারে? সোনালীর উত্তর, লড়াইটা সংসারে বা ব্যাক্তিগত জীবনে নয়।

সাধারণ মানুষের স্বার্থে, গ্রামের স্বার্থে, তাই গ্রামের মানুষ যাকেই সমর্থন করুক গ্রামের উন্নতির জন্য কাজ করতে হবে। বৌমা সংসার জীবনের বাইরে বেরিয়ে ভোটের ময়দানে সরাসরি শাশুড়ীর বিরুদ্ধে, কোথাওকি ক্ষোভ আছে? লক্ষ্মী রাণী মান্ডী জানান সংসারের জায়গা সম্পূর্ন আলাদা, রাজনীতির ময়দান সম্পূর্ণ আলাদা। রাজনীতি বাইরেই থাকবে সংসার জীবনে আর কোনো প্রভাব পড়বে না। এখন এটাই দেখার বিষয় শাশুড়ি বনাম বৌমা কাকে সাধারণ মানুষ সমর্থন করে এগিয়ে নিয়ে যায়। তবে এই সিদ্ধান্তে এলাকার মানুষের মধ্যে বেশ কৌতূহল রয়েছে।