সাইকেল যাত্রায় মৃত্তিকা দূষণ এবং শারীরিক সুস্থতার সচেতনতা।
সুপ্রিয় গাঙ্গুলী, কলকাতা : মেদিনীপুর এর সবং থানার অন্তর্গত ছোট্ট একটি গ্রামে বেড়ে ওঠা। কলেজের পড়াশুনা মৌলানা আজাদ কলেজে। কর্মসূত্রে এখন কলকাতার বাসিন্দা।
সাইকেল চালাতে ভালোবাসা এবং ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছা – এই দুটি মিলে মিশে “সাইক্লিং” এর শুরু। অর্থাৎ, নিজের প্রতিদিন এর কাজ এর বাইরেও সাইকেল চালানো, শুধুই সাইকেল চালানোর জন্য।
সাইক্লিং এবং ঘুরতে যাওয়া চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই। কাজের ফাঁকে একটু সময় পেলেই বেরিয়ে পড়েন সাইকেল নিয়ে। ২০২২ এর মার্চ মাসে বেরিয়ে ছিলেন, সাইক্লিং এর পথ ছিল কলকাতা থেকে ঝাড়গ্রাম, বেলপাহাড়ি , ঝিলিমিলি, মুকুটমনিপুর, বিষ্ণুপুর, জয়রামবাটি হয়ে আবার কলকাতা। প্রায় ৫৪৪ কিলোমিটার এর যাত্রা শুধুই ঘুরতে যাওয়ার কারণে ছিল না। ওনার চারপাশে ক্রমাগত ঘটে চলা অনেককিছুই ওনার মনে দাগ কাটে। তারমধ্যে ওনাকে সব থেকে বেশি ভাবিয়ে তোলে “মৃত্তিকা দূষণ” , এবং “শারীরিক সুস্থতা”।
হয়তো গ্রাম বাংলার কৃষি প্রধান এলাকায় বড় হওয়ার জন্য মাটির প্রয়োজন সম্বন্ধে উনি যথেষ্ট পরিমাণে অবগত। দূষণের ফলে ক্রমাগত মাটির গুণমান এর অবক্ষয় এর প্রভাব যে কতটা মারাত্মক হতে পারে সেটা উনি আন্দাজ করতে পারলেও অবধাবন করতে ব্যর্থ হয়। ঠিক তেমন ভাবেই শারীরিক সুস্থতার প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে বহুল প্রচার সত্বেও বেশির ভাগ মানুষ তাকে অবহেলা করে যান। স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে গেলে দরকার নিয়মিত মনযােগ সহকারে শরীর চর্চা করা। শরীর ঠিক না থাকলে মনও ঠিক থাকে না এবং মন দিয়ে কোন কাজও করা যায় না।
উক্ত বিষয়গুলি ভ্রমণ ও সাইক্লিং এর সাথে, ওনার নিজের মতো করে প্রচার ও প্রসার করার চেষ্টা করেন। যদি একটি মানুষ ও এর মাধ্যমে সচেতন হন সেটাও ওনার প্রাপ্তি।
এবার ওনার এই সাইক্লোথন কে আরো একটু বিস্তারিত করতে চেয়েছেন। তাই এই আশ্বিন এর মহালয়া তে সকাল ৭ টার সময় কলকাতার রবীন্দ্র সরোবর থেকে সাইকেলে কন্যাকুমারীর উদ্যেশে রওনা দিয়েছেন। ৬ টি রাজ্য, ৫২০০ কিলোমিটার বিস্তৃত এই যাত্রাতে এবারও ওনার Save soil এবং Fit India সম্বন্ধে মানুষ কে সচেতন করার চেষ্টা করে যাবেন।পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কেরল, কর্ণাটক এর উপর দিয়ে পরীক্ষিত ভূঁইয়ার এই যাত্রাপথ।
এই বিশাল দূরত্বের এবং এত দিনের এই বিশাল কর্মকাণ্ডে এই প্রথম উনি শামিল হচ্ছেন। কিছুটা হলেও চিন্তা, অনিশ্চয়তা ওনার মাথায় ঘুরছে। ২৫ শে সেপ্টেম্বর, সকাল ৭ টায় শুরু হওয়া এই যাত্রার জন্য আপনাদের সকলের শুভেচ্ছা ওনাকে সাহস যোগাবে বলে জানান ও
এই বিষয় এ আপনাদের যে কোনো পরামর্শ আমার এই যাত্রাপথ কে সহজ করে তুলতে পারে। উনি আমাদের আরো বলেন ওনার সম্পূর্ণ যাত্রাপথ বিষদে দেওয়া রইলো, এই পথের কাছকাছি যারা থাকেন তারা দয়া করে জানাবেন। জরুরী কোনো পরিস্থিতিতে তাদের কে উনি সাহায্যের আবেদন করতে পারেন।