বন্দনা ভট্টাচার্য্য, হুগলী :- যদিও বাঙ্গালী তথা হিন্দুদের বারো মাসে তেরো পার্বনের উৎসব লেগেই থাকে। এর মধ্যে আশ্বিন এবং কার্তিক এই দুই মাস উৎসবের জাঁকজমক অনেক বেশী। এই দুটো মাসে পর পর চলে পূজোর আমেজ। সবে মাত্র শেষ হল দূর্গা পূজো ও লক্ষ্মী পূজো। এবার বাঙালির দোর গোড়ার রয়েছে দীপান্বীতা কালী পূজো। আর কালী পূজো শেষ হতে না হতেই হুগলীর চন্দননগর ও রিষড়ার ঐতিহ্যবাহী জগধাত্রী পূজো। এই জগধাত্রী পূজোর পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে বুধবার প্রশাসনিক বৈঠক হয়ে গেল রিষড়ার রবীন্দ্রভবনে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চন্দননগর পুলিশ কমাশনারেটের পুলিশ কমিশনার অমিত প্রসাদ জাভালগী, ডিসিপি শ্রীরামপুর, এসিপি ২, পুলিশের অন্যান্য আধিকারিক, বিদ্যুত, জি আর পি, বিভাগের আধিকারিক, রিষড়া পৌরসভার পৌর প্রধান বিজয় সাগর মিশ্র, উপ পৌর প্রধান জাহিদ হাসান খান, রিষড়া পৌর সভার পৌর সদস্য ও সদস্যাগন এবং পূজো কমিটির উদ্যোক্তারা। রিষড়াতে পূজো শুরু হবে একুশ তারিখ থেকে, শেষ হবে পঁচিশ তারিখ। রিষড়ায় পূজো হয় ১১৭ টা। এর মধ্যে ৯২ টা পূজোর পারমিশন আছে, নন পারমিশন পূজো আছে ১০টা, বাড়ির পূজো আছে ১৫টা। পৌরপ্রধান বিজয় সাগর মিশ্র জানালেন জগধাত্রী পূজোর একটা ঐতিহ্য আছে।
বাইরে থেকেও প্রচুর দর্শনার্থীরা আসেন প্রতিমা দর্শন করতে, তাদের যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না ঘটে সেই দিকে পৌরসভার তরফে বিশেষ নজর দেওয়া হবে, এবং কোনো রাস্তা খারাপ থাকলে পূজোর আগেই সেই সব সারিয়ে ফেলার কথাও জানান পৌরপ্রধান। এছাড়াও জি আর পি আধিকারিক সকলের উদ্যেশ্যে জানিয়েছেন যেহেতু রিষড়ায় লেবেল ক্রসিং আছে রেল লাইন পারাপার করার সময় সতর্ক থাকার এবং মোবাইল ব্যবহার না করার বার্তা দিয়েছেন।
পূজোর দিন গুলো সকলের ভালো কাটুক এই বার্তা দিয়ে পুলিশ কমিশনার অমিত প্রসাদ জাভালগী বলেন, প্রশাসনিক ভাবে সতর্কতা অবশ্যই থাকবে, তবে অন্যান্য যে সকল বিধি নিষেধ রয়েছে পূজো কমিটি এবং দর্শনার্থীদের জন্য, সেগুলো মেনে চললেই কোনো সমস্যা হবেনা। এছাড়া ড্রোনের মাধ্যমে এবং সিসি টিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নজর দারি চালানো হবে। এছাড়াও মহিলা পুলিশ এবং স্পেশাল পুলিশের টিমও থাকবে। গঙ্গা পার হয়েও বহু মানুষ আসেন তার জন্য বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনীও জল পথে নজর রাখবে বলে জানালেন অমিত প্রসাদ জাভালগী।