প্রায় ১২ ঘণ্টা পর নদীর তীরে ভেসে উঠল প্রৌঢ়ার দেহ।
লতা পুরকাইত, কুলপি: দীর্ঘ কয়েক ঘন্টা তল্লাশির পর ব্যর্থ উদ্ধারকারী দল। অবশেষে হুগলি নদীর তীরে ভেসে উঠল প্রৌঢ়ার দেহ। বুধবার বেলার দিকে নদীতে স্নান করতে নেমে তলিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন এক প্রৌঢ়া। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কুলপির পয়লা নম্বর এলাকায় হুগলি নদীতে।
স্থানীয়রা এই বৃদ্ধার নদীতে নামতে ও স্নান করতে দেখেছেন। প্রত্যক্ষদর্শী মৎস্যজীবী প্রভাস মিদ্যা জানান, নদীতে নেমে হাতে করে জল নিয়ে মাথায় দিচ্ছিলেন ওই বুড়িমা। কিছুক্ষণের মধ্যেই, আমি নদীতে জাল দিয়ে ঘুরে দেখি আর নেই। অনেকক্ষণ ডুবে ডুবে খুঁজেও পেলাম না। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন কুলপি থানার আধিকারিক অজয় চন্দ্র। কুলপি থানার পুলিশ সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের নিয়ে স্পিডবোর্ড এবং লঞ্চে করে তল্লাশি অভিযান চালায় নদীতে। বেশ কয়েক ঘন্টা তল্লাশি চালিয়েও কিন্তু মহিলাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
অবশেষে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা নাগাদ ঘটনাস্থল থেকে খানিকটা দূরে নদীর তীরে মহিলার দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে মহিলার পরিবারের লোকজনেরা।
খবর পাঠানো হয় কুলপি থানায়। পুলিশ জানিয়েছে, প্রায় ৮০ বছরের মৃত উর্মিলা সরকার নিশ্চিন্তপুরের বটতলা এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। জানাগেছে, ওই বৃদ্ধা বাড়িতে একাই থাকতেন। এক ছেলে পরিবার নিয়ে কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। এদিন স্নান করতে নেমে নদীতে তলিয়ে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবি। তাঁর দেহ উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়তে ভিড় জমায় স্থানীয় মানুষজন। আত্মীয়-স্বজন ছুটে আসে পয়লা নম্বর ঘাটে।