কুলপিতে ষষ্ঠ দিনের দুয়ারে সরকার।
নিজস্ব প্রতিবেদক, কুলপি: কুলপি ব্লকের অন্তর্গত রামকিশোর অঞ্চলের ইট ভাটা এলাকায় একটি প্রত্যন্ত স্থানে ভ্রাম্যমাণ শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। যাতে ইটভাটায় কাজ করে এমন লোকেদের কাছে সরকারি পরিষেবা পৌঁছানোর জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।
যে সকল শ্রমিকরা এখনও কোনও কারণে দুয়ারে সরকারের পরিষেবা পাননি তাদের জন্য এটা করা হয়েছে৷ সাভাবিক ভাবেই অনেক মানুষ সরকারি সুবিধা নিতে আসেন এই ক্যাম্পে৷ মোবাইল ক্যাম্পের মাধ্যমে এই ভ্রাম্যমাণ শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছিল কুলপি ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
কুলপির বিধায়কের উপস্থিতিতে নিজ নিজ প্রয়োজনীয় পরিষেবার ফর্ম যোগ্য ব্যক্তিদের কাছে তুলে নেওয়া এবং ফর্ম হস্তান্তর করা হয়েছে। তা ছাড়া, ইটভাটার প্রায় ৫০ জন বাচ্চাদেরকে পোশাক এবং চকলেট দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি ব্লক প্রান্ত থেকে প্রায় ২৫টি পরিবারকে বিছানার চাদর দেওয়া হয়েছে।
এলাকাবাসীদের মুখে হাসি দেখে খুব ভাল লাগছে বলে জানিয়েছেন বিধায়ক। শোকার্ত শিশু যারা সত্যিই এখানে ইটভাটায় একটি কঠিন উপায়ে তাদের জীবন কাটিয়ে চলেছে, তাদের জন্য এই পদক্ষেপ সত্যিই কার্যকরী।
এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ষষ্ঠ দুয়ারে সরকার শিবিরে যোগ দিয়েছেন মোট পঞ্চাশ হাজার পাঁচশ ছেষট্টি জন। প্রচলিত ভাবে ২৫২টি ক্যাম্প ও মোবাইল মারফত ১৬৮টি ক্যাম্প করা হয়েছে। লক্ষির ভান্ডারের জন্য আবেদন করেছেন ৭৬৬ জন। সাস্থ্যসাথীর জন্য আবেদন জমা পড়েছে ৩৩২টি। কৃষকবন্ধু প্রকল্পটিতে আবেদন করেছেন ৭৯৩জন। মৎস্যজীবী নিবন্ধিকরণের আবেদন জমা পড়েছে ৩৪৯টি। খাদ্যসাথী প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছেন ৭৮জন। সোমবার শেষ দিনের ক্যাম্পে জমা পড়া মোট আবেদনের সংখ্যা চোদ্দ হাজার নব্বইটি। যার মধ্যে ছয় হাজার পাঁচশ চুয়ান্নটি আবেদনের সাপেক্ষে পরিষেবা প্রদান করা হয়েছে এবং সাত হাজার পাঁচশ ছত্রিশটি আবেদন এখনও প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন কুলফি সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সৌরভ গুপ্ত।