সুন্দরবনের জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য।
নিজস্ব প্রতিনিধি, ডায়মন্ড হারবার: “সুন্দরবনের জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য: গবেষণা ও কার্যক্রমের জন্য সহযোগিতামূলক পন্থা” শীর্ষক দু’দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক কর্মশালা গতকাল ডায়মন্ড হারবারের সাগরিকা ট্যুরিস্ট লজে সফলভাবে সমাপ্ত হলো। মুক্তি এবং কুইন মেরি ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মশালায় বিশেষজ্ঞ, নীতিনির্ধারক, স্বাস্থ্যকর্মী এবং স্থানীয় নেতৃত্ব একত্রিত হয়ে সুন্দরবনের জলবায়ু পরিবর্তন এবং জনস্বাস্থ্যের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন। কর্মশালার উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট পরিবেশ বিজ্ঞানী ডঃ সুনীতা ঘোষ এবং মুক্তির প্রতিষ্ঠাতা শ্রী শঙ্কর হালদার। উদ্বোধনী বক্তব্যে ডঃ ঘোষ সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্র এবং এর সম্প্রদায়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় সম্মিলিত প্রচেষ্টার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
কর্মশালার আলোচনায় উঠে আসে সুন্দরবনের প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো, যেমন জলবাহিত রোগ বৃদ্ধি, অপুষ্টি, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বাস্তুচ্যুতি এবং লবণাক্ততার অনুপ্রবেশ। এছাড়াও, এতে সম্প্রদায়-নেতৃত্বাধীন দুর্যোগ প্রস্তুতি, টেকসই জীবিকা এবং জলবায়ু-সহিষ্ণু নীতিগুলির মতো সমাধানের পথ নিয়ে আলোচনা করা হয়। ১২ জানুয়ারির ওপেন সেশন ছিল এই কর্মশালার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ। এই সেশনে স্থানীয় বাসিন্দা এবং কর্মীরা তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন, যা সুন্দরবনের মানুষের সংগ্রাম এবং সহনশীলতার একটি স্পষ্ট ছবি তুলে ধরে। মিডিয়া পেশাদার এবং উপস্থিত অংশগ্রহণকারীরা এসব অভিজ্ঞতার আলোকে গবেষণা-ভিত্তিক কৌশলগুলিকে বাস্তবায়িত করার পথ নিয়ে আলোচনা করেন।
সুন্দরবনের কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক চন্দন মাইতি, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক, অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিষ্ট্রেসেস বলেন, “কর্মশালার শেষে একটি সম্মিলিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, নীতির খসড়া সুপারিশ এবং অংশীদারদের মধ্যে সম্পর্ক দৃঢ় করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। “মুক্তির প্রতিষ্ঠাতা শংকর হালদার এই চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলায় টেকসই এবং সম্প্রদায়-কেন্দ্রিক পদ্ধতির প্রতি সংগঠনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।