জলপাইগুড়ির বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী।
নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি: রবিবার বিকেলে কয়েক মিনিটের প্রবল ঝড়ের দাপটে লন্ডভন্ড হয়ে গেল জলপাইগুড়ির একাধিক এলাকা। ক্ষতিগ্রস্থ অসংখ্য ঘর বাড়ি। উপরে পড়েছে বৈদ্যুতিক খুটি সহ বহু গাছপালা। ঝড়ের দাপটে সব থেকে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধূপগুড়ি, ময়নাগুড়ি সহ বিস্তির্ণ এলাকা। উড়ে গেছে বহু বাড়ি ও দোকানের চাল। নষ্ঠ হয়েছে ঘরে এবং দোকানের ভিতরে থাকা জিনিস পত্র। গাছপালা চাপা পড়েও নষ্ঠ হয়েছে বহু সম্পত্তি। হঠাৎ ঝড়ের দাপটে পথ চলতি মানুষ আশ্রয় নেয় নিরাপদ স্থানে। এখনও পযর্ন্ত চার জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছে বহু মানুষ। ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে বিপর্যয় মোকাবেলা টিম। দ্রুততার সাথে উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সামনেই নির্বাচন। সব রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা তাদের প্রচার বন্ধ রেখে পৌছিয়েছে ঘটনাস্থলে। দুর্গতদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিন বিকেলে ঘুর্ণি ঝড়ের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে একটি কালো ধোঁয়ার মত ঘুর্ণি ঝড়টি এগিয়ে আসছে। তার দাপটে গাছ, পালা, বাড়িঘর ছিটকে পড়েছে। আবহাওয়া সূত্রে জানা গেছে, এটি মিনি টর্নেডো। যার প্রভাবেই জলপাইগুড়ির এই ভয়ংকর অবস্থা। গুরুতর পরিস্থিতির খবর পেয়েই মধ্যরাতে ঘটনাস্থলে ছুটে গেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আহতদের দেখতে হাসপাতালেও যান। অভিষেক ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গতদের পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন। সরকারি ভাবে মূতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষনা করা হয়েছে।
তরিঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌছিয়েছেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। সোমবার ঘটনাস্থলে যান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। গেলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানিয়েছেন।